সংক্ষিপ্ত

কখনও কখনও বন্ধুত্বও বিষাক্ত হতে পারে। কিছু বিশেষ কথা বিষাক্ত বন্ধুদের চিহ্নিত করতে পারে, যেমন 'তুমি খুব সেনসিটিভ' বা 'এটা তো মজা ছিল'। জেনে নিন ৮ টি বাক্য যা বিষাক্ত বন্ধুরা প্রায়ই বলে।

সম্পর্ক ডেস্ক। বন্ধুত্ব জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক। কিন্তু কখনও কখনও এই সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে, এমন পরিস্থিতিতে এটি চিহ্নিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে বুঝবেন যে আপনার কোন বন্ধু আপনার জন্য বিষাক্ত (toxic)? বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মারিসা জি ফ্রাঙ্কো সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন যে কিছু বিশেষ বাক্য আছে যা বিষাক্ত বন্ধুদের চিহ্নিত করে।

যদি আপনার কোন বন্ধু প্রায়ই এই কথাগুলি বলে, তাহলে সম্ভবত সে আপনার মানসিক শক্তিকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে এবং আপনার জন্য ক্ষতিকারক।

৮ টি বাক্য যা বিষাক্ত বন্ধুরা আপনাকে বলে-

১. তুমি খুব সেনসিটিভ- যখন বন্ধুরা আপনার অনুভূতিকে হালকাভাবে নিয়ে এটিকে আপনার দুর্বলতা বলে।

২. এটা তো মজা ছিল- আপনার উপর করা রসিকতাকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য এটিকে হালকাভাবে নেওয়া।

৩. তোমার আমার মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।- এভাবে বলে বন্ধু নিজেকে আপনার থেকে ভালো প্রমাণ করার চেষ্টা করে।

৪. তুমি আমার ঋণী।- যখন বন্ধু উপকার করার কথা বলে এবং আপনাকে অপরাধবোধে ভোগায়।

৫. তুমি আগে ভালো ছিলে- এই কথাটি আপনার পরিবর্তনকে নেতিবাচকভাবে দেখানোর চেষ্টা।

৬. তোমার প্রমোশন কীভাবে হলো?- আপনার পরিশ্রমকে কম মূল্যায়ন করা এবং আপনার সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা।

৭. আমার দুঃখ হচ্ছে যে তুমি এমন অনুভব করছো।- ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে নিজের ভুলকে ন্যায্যতা দেওয়া।

৮. কিছু না।- যখন বন্ধু আপনার থেকে দূরত্ব তৈরি করে এবং কোন কারণ ছাড়াই কথা বলা বন্ধ করে দেয়।

শুধু এই বাক্যগুলির উপর ভিত্তি করেই কি বন্ধুকে বিষাক্ত বলে মনে করা উচিত?

ড. ফ্রাঙ্কো বলেন, শুধুমাত্র এই কথাগুলির উপর ভিত্তি করেই বলা যাবে না যে সম্পর্কটি বিষাক্ত। তবে এর দিকগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। যে বন্ধুরা এমন কথা বলে, তারা কি আপনার প্রয়োজনের সময় আপনার পাশে থাকে? তারা কি আপনার খেয়াল রাখে? তারা কি আপনার ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলির প্রশংসা করে? যদি না হয়, তাহলে এই বাক্যগুলি বিষাক্ত বন্ধুর লক্ষণ।

জীবনে বন্ধুরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বিষাক্ত বন্ধুদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মানসিক এবং আবেগগত স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন এবং আপনার জীবনে ইতিবাচকতা বজায় রাখুন।