সংক্ষিপ্ত
তিনটি গুণ যুক্ত মেয়ে জীবনে এলে.. তাদের জীবন খুব সুখের হয়।
ভারতীয় সমাজে সংস্কৃতিতে স্ত্রী মানে গৃহিণী এই ধারণা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর স্ত্রী মানে.. নিজের জন্য নয়... নিজের পরিবারের জন্য, পরিবারের শ্রেয়সের জন্যই ভাববে এমনটা ভাবা হয়ে থাকে। কাগজ... বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক চাণক্যও স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে তার গ্রন্থগুলিতে জোর দিয়ে বলেছেন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে চাণক্য নীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছে। সফল, সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে.. কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে তাও চাণক্য বলেছেন। তার মতে.. তিনটি গুণ যুক্ত মেয়ে জীবনে এলে.. তাদের জীবন খুব সুখের হয়।
ভারতীয় ঐতিহ্যে স্ত্রীকে ঘরের লক্ষ্মী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে গৃহের শ্রেয়স, আনন্দের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্ত্রী যদি বুদ্ধিমতী, ধৈর্য্য ও কর্তব্যপরায়ণা হন, তাহলে তিনি পরিবারে আনন্দ, শান্তি ও শ্রেয়স নিয়ে আসেন। তাই চাণক্যর নীতি অনুসারে স্ত্রী নির্বাচনের সময় তিনটি বিষয়ের উপর বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। নাহলে সম্পর্কে চাপ ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই তিনটি বিষয় কি কি।
১. নীতি : চাণক্যের মতে নারীর চরিত্রে নীতিবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রীর স্বভাব যদি বিশুদ্ধ ও নীতিগত হয়, তাহলে তিনি পরিবারের জন্য মেরুদণ্ড হয়ে উঠবেন। প্রতিটি পরিস্থিতিতে তার স্বামী, পরিবারকে সাহায্য করবেন। স্ত্রীর আদর্শ আচরণ তার স্বামী পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে সাহায্য করে। একজন নারীর চরিত্র ভালো না হলে অথবা তার নীতিবোধ দুর্বল হলে, তা পরিবারকে প্রভাবিত করে। যা পরে ঝগড়া ও সম্পর্ক ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিয়ের আগে এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
২. ধৈর্য : চাণক্যের নীতিশাস্ত্রে ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্যশীল স্ত্রী প্রতিটি কষ্টকে সাহসের সাথে বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবেলা করতে পারে বলে চাণক্য বলেছেন। জীবনে উত্থান-পতন থাকে, কিন্তু ধৈর্যশীল স্ত্রী পরিবারকে একসাথে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নারীর যদি সহনশীলতা, ধৈর্য না থাকে তাহলে ছোট ছোট কথাতেই রাগ হবে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হবে। এমন সম্পর্কে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন।
৩. ঘর-সংসার সামলানোর যোগ্যতা: চাণক্যের নীতি অনুসারে, নারীর ঘর-সংসার সামলানোর যোগ্যতা থাকা উচিত। পরিবারের প্রয়োজন, সমস্যাগুলি বুঝতে এবং সেগুলি সমাধান করার যোগ্যতা তার থাকা উচিত। যে স্ত্রী ঘর ভালোভাবে সামলাতে পারেন, তিনি পরিবারে আনন্দ, শান্তি নিয়ে আসেন। একজন নারী যদি ঘর ও পরিবারের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে না পারেন, তাহলে পরে সম্পর্কে চাপ ও ঝগড়া শুরু হয়। পরিবার ঠিক না থাকলে জীবনে সমস্যা বেড়েই চলে।