সংক্ষিপ্ত
সম্পর্ক বজায় রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান রাখতে হবে। কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং যত্নের অভাবের কারণে অনেক নারীই তাদের পুরুষ সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
কেউ চায় না সম্পর্ক ভেঙে যাক। তাই অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েও দুজন মানুষ একে অপরের হাত ধরে। কিন্তু সব সম্পর্ক শেষ হয় না। আবার অনেক সম্পর্ক পরিণতি পাওয়ার পরও ভেঙে যায়। এই ক্ষেত্রে, অনেক পুরুষ নিজেকে জিজ্ঞাসা করে, ‘সে কি আমাকে আর ভালোবাসে না?’ যখন একজন বান্ধবী বা স্ত্রী তার প্রেমিক বা স্বামীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তখন এই ধরনের প্রশ্ন একজন পুরুষের মনে আসতে পারে। সম্পর্ক বজায় রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান রাখতে হবে। কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং যত্নের অভাবের কারণে অনেক নারীই তাদের পুরুষ সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
কখনও কখনও এটি অনিয়মিত যোগাযোগের কারণেও হতে পারে। অন্য কিছু কারণে নারীরা পুরুষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে-
একজন মহিলা যদি তার পছন্দের একজন পুরুষকে খুঁজে পান, তাহলে সে তার বর্তমান প্রেমিক বা স্বামীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। এই ক্ষেত্রে, যদি মহিলাটি তার বর্তমান সঙ্গীর দ্বারা তার পছন্দ, চাহিদা এবং মতামতকে মূল্যায়ন না করে, তবে সে একটি নতুন সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ দেখায়।
অনেক নারীই কেরিয়ার, পরিবার ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে নারী নিজের স্বার্থ না দেখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে বা পরিবারকে খুশি রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়। ফলস্বরূপ, তিনি তার পুরুষ সঙ্গীকে অবহেলা করতে থাকেন।
এছাড়াও, যখন কোনও সম্পর্কের মধ্যে খুব বেশি অশান্তি হয়, তখন মহিলারা সেই সঙ্গীর প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন। অনেক নারী শুধু মারামারির কারণেই নয়, মানসিক নির্যাতনের কারণেও পুরুষদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
আবার, অনেক মহিলা মনে করেন একটি সম্পর্কের পরে, তারা দ্রুত এমন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন যা তাদের পক্ষে ঠিক ছিল না। এমন ধারণার কারণে অনেক নারীই তাদের পুরুষ প্রেমীদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং পরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি কোনো পুরুষ তার নারী সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায়, তাহলে নারী সেই পুরুষের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। নারীরাও এ ধরনের পুরুষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।