সংক্ষিপ্ত

ম্যাট্রিমোনিয়াল প্রোফাইলে বেতনও গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে করা ছোট্ট ভুল সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। তার উত্তম উদাহরণ হলো এই ভাইরাল চ্যাট। একটি শূন্যের জন্য হলো এই সব গোলমাল।

ম্যাট্রিমোনিয়াল অ্যাপ্লিকেশনে (Matrimonial application) পাত্র-পাত্রী খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে। সেখানে পছন্দের সঙ্গী খুঁজতে মানুষজন প্রথমে বার্তা (Message) বিনিময় করে বিষয়গুলি শেয়ার করেন। কাজ, বেতন, পরিবার সহ একের পর এক তথ্য বিনিময় হয়। অনেকে চ্যাট বিশ্বাস করে প্রতারিত হন। কিন্তু এখানে একজন একটি শূন্য বেশি লিখে, মেয়ের কাছ থেকে গালি খাওয়ার পাশাপাশি, সম্পর্কটাই হারিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) তাদের দুজনের চ্যাটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। Kish Siff নামের একজন তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে চ্যাটের স্ক্রিনশট (Screen Shot) শেয়ার করেছেন। বেতনের ভুল স্বীকার করার আগ পর্যন্ত আমাদের সম্পর্ক ভালোই ছিল বলে শিরোনাম দিয়েছেন।

 

চ্যাটের শুরুতে মেয়েটি বলে, আমাদের বাগদান কবে হবে, বাবা জিজ্ঞাসা করছেন। ছেলেটি উত্তরে বলে, একে অপরকে বোঝার জন্য সময় লাগবে, কারণ আমাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। এটি দেখে মেয়েটি প্রশ্ন করে, আমরা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কথা বলেছি। আর অপেক্ষা করার দরকার নেই। অন্য কাউকে দেখবে নাকি? ছেলেটি উত্তরে বলে, কবে বাগদান করব? মেয়েটি বলে, নভেম্বরে করলে ভালো হবে। ছেলেটি বলে, ম্যাট্রিমোনিয়াল প্রোফাইলে একটি ছোট্ট ভুল হয়েছে। মেয়েটি বলে, পরে কথা বলব। ছেলেটি চ্যাট চালিয়ে বলে, প্রোফাইলে আমার বেতন ৩ লাখের পরিবর্তে ৩০ লাখ লেখা হয়েছে। ছোট্ট টাইপিং ভুলের জন্য এমন হয়েছে। এই কথা শুনে মেয়েটির সুর বদলে যায়। সে গালিগালাজ শুরু করে। ছেলেটি মেয়েটির মায়ের সাথে হওয়া চ্যাটও শেয়ার করেছে।

এই পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। ৪ লাখের বেশি বার পোস্টটি দেখা হয়েছে এবং ২.৫ লাখের বেশি লাইক পড়েছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন। তারা আপনাকে নয়, আপনার বেতনকে বিয়ে করছে। তাদের বিয়ে করার চেয়ে অফিসের করিডরে শোয়া ভালো বলে মন্তব্য করেছেন একজন। আবার কেউ কেউ নারীবাদকে নিন্দা করেছেন। আজকালকার মেয়েরা বেতনকে প্রাধান্য দেয়। বাড়ির কাজ করে না, বাবা-মাকে দেখাশোনা করে না, বাচ্চা চায় না। নারীবাদ মেয়েদের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন।

 

দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে তাদের পটভূমি ভালোভাবে জেনে নিন। ভরণপোষণ, বেতন, কাজ সম্পর্কে সব তথ্য রাখুন। একবার সোনা খননকারী ব্যক্তি আবার সেটাই চায় বলে মন্তব্য করেছেন একজন। একজন ব্যবহারকারী তার বন্ধুর জীবনের ঘটনা লিখেছেন। বিবাহবিচ্ছেদিত বন্ধুকে ভালোবাসতেন এক মেয়ে। মেয়েটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য বলেছিল। এই বাড়ি তার নামে করতে হবে বলে জেদ ধরেছিল। এতে রাজি না হওয়ায় বিয়ে ভেঙে গেছে।