Jealous Relationship: কাছের মানুষ মানেই সবসময় আপনজন নয়। যারা আমাদের সঙ্গে থাকে, তারা সবসময় আমাদের পাশে থাকে না। অনেক সময় তথাকথিত আপজনই আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করে। তাই কাছের মানুষদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
Relationship Tips: কাছের মানুষরাই বেশি ঈর্ষা করে এমনটা মনে হতে পারে। কারণ সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার কারণে আমরা তাদের সাফল্য বা ব্যর্থতার প্রতি বেশি সংবেদনশীল হই এবং তাদের জীবনে কী ঘটছে তা নিয়ে বেশি চিন্তা করি। ঈর্ষা, যা প্রায়শই নিরাপত্তাহীনতা এবং নিজের প্রতি তুলনা থেকে জন্ম নেয়, তা সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কগুলোর মধ্যে সহজেই প্রকাশ পেতে পারে। এর কারণ হতে পারে ঘনিষ্ঠতার কারণে তৈরি হওয়া নিরাপত্তাহীনতা, একে অপরের জীবনের প্রতি স্বাভাবিক মনোযোগ বা এমনকী একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা।
কাছের মানুষ কেন ঈর্ষান্বিত হয়?
- তুলনা: কাছের মানুষ একে অপরের সঙ্গে বেশি তুলনা করে। যখন একজন বন্ধু বা পরিবারের সদস্য ভালো করে, তখন তারা নিজেদেরকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করে। এই তুলনা থেকে ঈর্ষা জন্মায়।
- নিরাপত্তাহীনতা: যখন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের একজন ব্যক্তি অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা বা মনোযোগ পায়, তখন কাছের মানুষ নিজের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। এই নিরাপত্তাহীনতা থেকে তারা ঈর্ষান্বিত হতে পারে।
- প্রতিযোগিতা: কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ভাইবোন বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে, একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার অনুভূতি থাকে। এই প্রতিযোগিতা যখন ঈর্ষায় পরিণত হয়, তখন তা সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে।
- হেরে যাওয়ার ভয়: রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঈর্ষা হল প্রিয়জনকে হারানোর ভয় থেকে উদ্ভূত একটি আবেগ। যখন আপনার প্রিয়জন অন্য কারও প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়, তখন আপনি ঈর্ষান্বিত হতে পারেন।
- সামাজিক মাধ্যম: সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে অন্যদের জীবন সম্পর্কে জানা সহজ হয়ে যায়। এর ফলে, আমরা প্রায়শই নিজেদের জীবনকে অন্যদের জীবনের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করি এবং ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ি।
- প্রেরণা হিসেবে ব্যবহার: ঈর্ষা একটি নেতিবাচক আবেগ হতে পারে, তবে এটি আপনাকে ভালো কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিতও করতে পারে। যদি আপনার কোনও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঈর্ষান্বিত হয়, তাহলে তাদের সেই অনুভূতিটিকে ভালো কিছু করার জন্য কাজে লাগাতে বলুন।
ঈর্ষা মোকাবিলা করার উপায়:
- যোগাযোগ: আপনার ঘনিষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন এবং তাদের অনুভূতিগুলো বুঝুন। তারা কেন এমন অনুভব করছে তা জানার চেষ্টা করুন।
- তুলনা পরিহার: নিজেদের জীবনের সঙ্গে অন্যদের জীবনের তুলনা করা বন্ধ করুন। কারণ প্রত্যেকের জীবনের পথ আলাদা এবং সবার জীবন ভিন্ন পথে চলে।
- কৃতিত্ব উদযাপন: যখন আপনার ঘনিষ্ঠ মানুষরা কিছু অর্জন করে, তখন তাদের সেই অর্জনগুলো উদযাপন করুন। তাদের সাফল্যকে নিজেদের সাফল্যের মতো দেখুন।
- সহযোগিতা: একে অপরের প্রতি ঈর্ষান্বিত না হয়ে, একে অপরের সাফল্যে অংশীদার হন। একে অপরকে সমর্থন করে একসঙ্গে এগিয়ে যান।
- পেশাদার সাহায্য: যদি ঈর্ষার অনুভূতি খুব বেশি হয় এবং সম্পর্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, তাহলে একজন পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


