একজন প্রকৃত বন্ধু কখনোই আপনার সম্পর্কে অন্যের কাছে খারাপ কথা বলবেন না। আপনার কোনও আচরণ বা কথা নিয়ে সমালোচনা করার থাকলে তা সরাসরি আপনাকে এসেই বলবেন। আপনার পিছনে নয়।

বন্ধুত্ব মানব সম্পর্কের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ। এটি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষকে সান্ত্বনা দেয়, শক্তি দেয় , সমর্থন করে এবং অনুপ্রেরণা দেয়। তবে এই সম্পর্ককে সুস্থ ও টেকসই রাখার জন্য বন্ধুদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস ও বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকৃত বন্ধুত্ব কেমন হওয়া প্রয়োজন :

বন্ধুত্বের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস, এক অপরের প্রতি সম্মান, সুবিধা অসুবিধায় সহযোগিতা,পাশে থাকা। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস থাকা এবং গোপনীয়তা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

প্রত্যেক ব্যক্তিরই নিজস্ব মতামত ও অনুভূতি আছে। বন্ধু হিসেবে একে অপরের মতামতকে সম্মান করা এবং তাদের অনুভূতির প্রতি সংবেদনশীল হওয়াও খুব জরুরি। জীবনের বিভিন্ন সময়ে প্রত্যেকটা মানুষেরই সাহায্যের প্রয়োজন হয়। বন্ধু হিসেবে একে অপরকে সাহায্য করা এবং সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা উচিত একান্ত জরুরি।

কেউ কেউ ভুল করতে পারে। তাই বন্ধুর ভুলকে ক্ষমা করার মানসিকতা থাকা জরুরি। বন্ধুত্বের মধ্যে সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের সাথে সবসময় সত্য কথা বলতে হবে।

তাই বন্ধুত্ব হল এমন একটি সম্পর্ক, যা রক্তের সম্পর্কের থেকেও কখনও কখনও বেশি গভীর ও মূল্যবান হয়ে ওঠে। তবে সকল সম্পর্কেই যেমন ভালো-মন্দ থাকে, বন্ধুত্বেও তেমন হতে পারে। তবে কেউ সত্যিকারের বন্ধু কি না, তা কিন্তু তাঁদের কিছু আচরণ দেখেই বুঝে যেতে পারবেন। ভালো ও সৎ বন্ধুরা কখনও এই জিনিস গুলো ভুলেও করেন না। তাই এগুলি যদি কেউ করেন, তাহলে তিনি আপনার কোনও দিন বন্ধুই ছিলেন না বলে ধরে নেবেন।

বন্ধুত্বের সংজ্ঞা 

* একজন প্রকৃত বন্ধু কখনোই আপনার সম্পর্কে অন্যের কাছে খারাপ কথা বলবেন না। আপনার কোনও আচরণ বা কথা নিয়ে সমালোচনা করার থাকলে তা সরাসরি আপনাকে এসেই বলবেন। আপনার পিছনে নয়।

* শুধু নিজের প্রয়োজনে যোগাযোগ করা। যে বন্ধু শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় ফোন করেন বা দেখা করেন, তিনি স্বার্থপর। সত্যিকারের বন্ধুরা সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন।

* গোপন কথা ফাঁস করে দেবে নাহ।আপনি যাঁকে বিশ্বাস করে ব্যক্তিগত কিছু কথা শেয়ার করলেন, তিনি যদি তা অন্যের কাছে বলে দেন, তাহলে তিনি মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নন। তাই আপনার গোপন কথা সেই বন্ধুর মাধ্যমে পাঁচকান হলে সতর্ক হয়ে যান।

* আপনার সীমাবদ্ধতাকে গুরুত্ব না দেওয়া। যে একজন ভালো বন্ধু আপনার মানসিক অবস্থা, সময় বা শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে সম্মান করবে। এ সবের ঊর্ধ্বে গিয়ে ফালতু কোনও বিষয় নিয়ে চাপ সৃষ্টি করবেন না।

তবে বন্ধু এমন কিছু করলে বুঝতে হবে তিনি কোনওদিন প্রকৃত বন্ধু ছিলেনই না।