সংক্ষিপ্ত

  • এইচআইভি। এই ভাইরাসের নাম শুনলে মানুষ চমকে ওঠে
  • এডসের শিকার হওয়া মানে মৃত্যুর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া
  •  ইঁদুরের উপরে গবেষণা চালিয়ে এবার এই রোগেও সমাধানের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেন গবেষকরা

এইচআইভি। এই ভাইরাসের নাম শুনলে মানুষ চমকে ওঠে। হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস বাহিত রোগ এডসের শিকার হওয়া মানে মৃত্যুর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া। ইঁদুরের উপরে পরীক্ষামূলক গবেষণা চালিয়ে এবার এই রোগেও সমাধানের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেন গবেষকরা। এইচআইভি আক্রান্ত ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ডিএনএ-এ থেকে এই ভাইরাস বাদ দেওয়া সম্ভব। এই গবেষণাই এই রোগ নিরাময়ের রাস্তা বেশ কিছুটা মসৃণ করেছে। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এইচআইভি ভাইরাস বহন করছেন। টেম্পল ইউনিভার্সিটি লিউইড ক্যাটজ স্কুল অফ মেডিসিন ও ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাসকা মেডিক্যাল সেন্টারের যৌথ গবেষণার রিপোর্টটি প্রকাশিত হয় নেচার কমিউনিকেশনস-এ। জেনোম এডিটিং টেকনোলজি ও স্লো রিলিজ ভাইরাস সাবস্ক্রিপশন ড্রাগের মাধ্যমে এইচআইভি শরীর থেকে সম্পূরণ ভাবে বাদ দেওয়া যায়। ইনফেকটেড ইঁদুরদের উপর পরীক্ষা চালিয়েই এই দাবি করেছেন গবেষকরা। আর এর ফলেই যে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এইচআইভি আক্রান্ত তাঁদের চিকিৎসায় প্রগতির দিশা পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এই মুহূর্তে এইচআইভি সম্পূর্ণ ভাবে বাদ দেওয়ার কোনও ওষুধ নেই। তবে  সেই ভাইরাস যাতে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না থাকে তার জন্য রয়েছে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (আরট)। 

লেজার আরট-এর মাধ্য়মে ইঁদুরগুলির শরীরের ভিতরে যাতে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তাই গবেষণা করে দেখা হয়েছে।  এইচআইভি ক্রোমোজোম বাদ দিয়ে এই রোগের সমাধানের পথ দেখছে।