সংক্ষিপ্ত
আসলে গ্রীষ্ম প্রধান দেশেগুলির আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানি দেখা যায়। আর গোটা গ্রীষ্মেই এই সমস্যা জারি থাকে। তবে চিন্তার কিছু নেই, সামান্য কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই মোকাবিলা করতে পারবেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখা মিলছে রোদের। মেঘলা আকাশের দেখা পাওয়াই যাচ্ছে না। আর বেলা বাড়ার সঙ্গেই সঙ্গেই শুরু হয়ে যাচ্ছে হাঁসফাঁসানি গরম। গরমে যেন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। বেলার দিকে বাড়ি থেকে বের হতে গেলেই ভয় করছে। রোদের তেজে পুড়ে যাচ্ছে গা। বৈশাখের এই গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এদিকে আকাশে বৃষ্টির দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। আর এই তীব্র গরমে ঘামাচির সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। বিশেষত, শিশু এবং যাদের শরীর বেশি ঘামে, তাদের বছরের এই সময়টাতে বেশ যন্ত্রণা পোহাতে হয়। ঘামাচি আকারে ছোট হলেও কিন্তু খুব অস্বস্তিকর!
আসলে গ্রীষ্ম প্রধান দেশেগুলির আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, ব়্যাশ, চুলকানি দেখা যায়। আর গোটা গ্রীষ্মেই এই সমস্যা জারি থাকে। তবে চিন্তার কিছু নেই, সামান্য কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই মোকাবিলা করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্যই ত্বকের লোমকূপের ভিতর থেকে ঘাম বেরিয়ে আসে। তবে, এই ঘাম অতিরিক্ত গরমেও শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এই ঘামের সঙ্গে মিশে থাকা লবণের জন্য যদি লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না। এর ফলে লোমকূপের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। তার থেকেই ঘামাচি ও ব়্যাশ হয়।
আরও পড়ুন- বাড়ছে চুল পড়ার সমস্যা? শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে এর কারণ, জেনে নিন লক্ষণ
ঘরোয়া উপায়ে ঘামাচির হাত থেকে রেহাই পান...
- গরমকালে ঘাম হবেই। তাই কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ঘাম মুছে ফেলুন। বেশিক্ষণ যাতে শরীরে ঘাম না থাকে তার দিকে খেয়াল রাখবেন। তবে, ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না। এর ফলে ত্বকের বারোটা বেজে যাবে।
- সম্ভব হলে দিনে দু'বার স্নান করুন। স্নান করার সময় কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। বেশি ঘষবেন না। হালকা হাতে কোনও নরম লুফা ব্যবহার করে অল্প অল্প স্ক্রাব করুন। স্ক্রাবারের ব্যবহার করতে পারেন।
- এই সময় স্নানের জলে যে কোনও অ্যান্টি-সেপটিক লোশান ব্যবহার করুন। তা ছাড়াও স্নানের জলের বালতিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বক ফ্রেশ থাকবে এবং জীবাণুও কম হবে। আর নিম পাতার রস ঘামাচি দূর করতেও সাহায্য করে।
- ঘামাচি হলে চুলকাবেন না। সব থেকে ভালো হল অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস। এগুলি জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগাতে পারেন। এছাড়া অ্যালোভেরা সরাসরিও লাগাতে পারেন। তাহলে দু'দিনের মধ্যেই ঘামাচি কমে যাবে।
- ট্যালকম পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো। এতে লোমকূপের মুখ বুজে হিতে বিপরীত হতে পারে।
- আইসব্যাগ বা গামলায় ঠান্ডা জল বা বরফ নিয়ে ঘামাচির জায়গাগুলিতে দিন। অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত রাখবেন। এতেও চুলকানি কমে যাবে। আর তার সঙ্গে ঘামাচির হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।
- ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতা এক দারুণ প্রাকৃতিক দাওয়াই। গোলাপজল মিশ্রিত নিমপাতার রস ঘামাচির উপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়। তবে সব কিছুই আগে অল্প ত্বকে প্রয়োগ করে দেখবেন তারপর লাগাবেন।
আরও পড়ুন- সাবান কিনুন ত্বকের ধরন বুঝে, জেনে নিন কোন ত্বকের জন্য কেমন সাবান উপযুক্ত
আরও পড়ুন- যৌনজীবনেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই ফল, কেনার আগে মিষ্টি কিনা বুঝবেন কীভাবে?