সংক্ষিপ্ত
- সারা বিশ্বের জনসংখ্যা, পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গ সমতা, মানবাধিকার-সহ বেশ কিছু বিষয়ের উপরে আলোকপাত করা হয় এই দিনে
- ১৯৮৯ সাল থেকে এই সূচনা বিশ্ব জনসংখ্য়া দিবসের। এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা ১৩৩.৯২ কোটি
- প্রতিদিন এই জন সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে
১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। সারা বিশ্বের জনসংখ্যা, পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গ সমতা, মানবাধিকার-সহ বেশ কিছু বিষয়ের উপরে আলোকপাত করা হয় এই দিনে। ১৯৮৯ সাল থেকে এই সূচনা বিশ্ব জনসংখ্য়া দিবসের। এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা ১৩৩.৯২ কোটি। প্রতিদিন এই জন সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
জনসংখ্যা নিয়ে দেশের রাজনীতিক, নেতা মন্ত্রীরাও বিভিন্ন কথা বলেন। কয়েকজন নেতা মন্ত্রীর মন্তব্য় বেশ রাজনৈতিক মহলে সাড়াও ফেলে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরালও হয়।
১) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জনসংখ্য়ার তুলনা করেছিলেন। সে সময়ে তিনি বলেছিলেন, আপনারা বলছেন রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্য়া বাড়ছে। কিন্তু জনসংখ্যাও তো বাড়ছে। বিধান চন্দ্র রায় যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এখন কি জনসংখ্যা তেমনই রয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেছিলেন, এখন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। শপিং মলের সংখ্যা বাড়ছে। ছোট ছেলে মেয়েরাও আধুনিক হচ্ছে।
২) বাবা রামদেব- বাবা রামদেবও কিছুজিন আগেই জনসংখ্যা নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জনসংখ্য়া কমাতে ভোটাধিকারের উপর নিয়ন্তরণ করার পরামর্শ দেন। রামদেব বলেছিলেন, দেশের জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ভোটাধিকার, কর্মসংস্থান, চিকিৎসার সুবিধা এইগুলির উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তার পরেই জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। এমনকী, রামদেব এক সভায় বলেছিলেন তৃতীয় সন্তানকে ভোটাধিকার দেওয়া হবে না।
৩) গুলম নবি আজাদ- প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের গ্রামে বিদ্যুণ ব্যবস্থা চালু হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিদ্যুৎ চলে এলে দম্পতিরা একসঙ্গে টিভি দেখে সময় কাটাবেন। গুলম নবি আজাদ এ-ও বলেন, আগেকার দিনে বিনোদন বলতে তেমন কিছু ছিল না। সবাই তাই যৌনতায় লিপ্ত থাকতেন। তাই সন্তানের সংখ্যাও অনেক হত। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ এসে যাওয়ায় দম্পতিরা একসঙ্গে বসে টিভি দেখেন।