সংক্ষিপ্ত

সুস্থ থাকতে খেতে পারেন স্টিভিয়া। স্টিভিয়া অত্যাশ্চর্য মিষ্টি গুল্প জাতীয় ভেষজ গাছ। যা সুস্বাদু হলেও ক্যালোরি মুক্ত। 

১ চামচ চিনিও ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে সবার আগে চিনি ছাড়ার পরমার্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। এবার থেকে সুস্থ থাকতে খেতে পারেন স্টিভিয়া। স্টিভিয়া অত্যাশ্চর্য মিষ্টি গুল্প জাতীয় ভেষজ গাছ। যা সুস্বাদু হলেও ক্যালোরি মুক্ত। 

স্টেভিয়া হল প্রাকৃতিক চিনি। তবে, স্বাদের ক্ষেত্রে এটি চিনির চেয়ে ১০০ গুণ বেশি মিষ্টি। এই ভেষণ উপকানে কোনও ক্যালোরি নেই। ফলে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা খেতেই পারেন স্টেভিয়া। এটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও উপকারী। 

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে স্টেভিয়া। দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি থেকে রক্ষা করে স্টেভিয়া। দাঁতের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। দাঁতের সমস্যার অন্যতম কারণ হল চিনি। মিষ্টি জাতীয় খাবের থেকে দাঁতের সমস্যা হয়। এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারলে চিনির বদল স্টেভিয়া খেতে পারেন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।   

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন নিয়মিত স্টেভিটা খাওয়া যেতে পারেন। বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানান পদ্ধতি মেনে চলেন সকলে। ওজন কমাতে চাইলে সবার আগে খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এবার চিনির বদলে খান স্টেভিয়া। মিলবে উপকার। 
     
হজমের সমস্যা দূর করে স্টেভিয়া। বর্তমানে বদ হজমের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন স্টেভিয়া। নিয়মিত স্টেভিয়া খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। হজম সংক্রান্ত সকল জটিলতা দূর হবে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্টেভিয়া পাতা চিবিয়ে খান। এতে আছে বিটা ক্যারেটিন, ভিটামিন সি ও খনিজ। যা শরীর সুস্থ রাখে। যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তারা মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। 

সারা বছরই লেগে থাকে নানান শারীরিক জটিলতা। এই সময় সর্দি, কাশির মতো সমস্যা তো আছেই। এর সঙ্গে অধিকাংশই ভোগেন পেটের সমস্যায়। বর্ষার সময় খাওয়া দাওয়ার একটু এদিক ওদিক হলে নয় পেট খারাপ তা না হয় পেটে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় সুস্থ থাকতে চিনির বদলে খান স্টেভিয়া। ওজন কমবে স্টেভিয়ার সাহায্য করবে এটি।  

বাড়িতে লাগাতে পারেন এই গাছ। টবে এই গাছের বীজ বপন করুন। তা ভালো সূর্যালোকে রাখুন আর নিয়মিত জল দিন। দু সপ্তাহে ১ বার জৈব তরল সার যোগ করুন। আর কীটপতঙ্গের আক্রামণ থেকে বাঁচাতে নিম তেল স্প্রে করতে পারেন। ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে গাছটি তৈরি হবে। এবার পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তৈরি করুন স্টেভিয়া। 
 
 
আরও পড়ুন- নিয়মিত খান জাম থেকে বেদানার মতো চারটি সুমিষ্ট ফল, বর্ষার মরশুমে সুস্থ থাকবে লিভার

আরও পড়ুন- সন্তানের বুদ্ধি বাড়াবেন কীভাবে ? রইল খুব সহজ টিপস

আরও পড়ুন- ওজন কমাতে নিয়মিত খান এই বিশেষ জুস, আনারসের গুণে মাত্র ২ সপ্তাহে কমবে ওজন