সংক্ষিপ্ত

শরীরচর্চা করতেই ভোলবদল ডায়েটে। বেশি পরিমাণ খাবার খেতে হবে নিয়ম মেনে।  অন্যান্য ডায়েটগুলিতে কার্বস প্রায়ই থাকেই না, এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিমাণও খুব কম থাকে।  এই ডায়েটের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরো উল্টো। এতে কার্বহাইড্রেট কম খেতে হয় এবং ফ্যাট খেতে হয় বেশি।

শরীরের কথা ভেবে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছেন।  জিম ,যোগাসন করেই শরীরের বাড়তি মেদ কিছুতেই কমাতে পারছেন না। কারণ একটাই, কোনও না কোনওভাবেই নিজেকে স্লিম রাখতেই হবে। প্রথাগত ব্যায়াম ভুলে এবার ভোলবদল আনুন শরীরচর্চায়। ফ্যাট খেলেই কমবে শরীরের বাড়তি ওজন, অবিশ্বাস্য নয়, এটাই সত্যি। সঠিক ডায়েট চার্ট মানলেই ওজন কমবে তড়তড়িয়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমবে বাড়তি ফ্যাট। একমাসের মধ্যেই  শরীরের ওজন কমিয়ে ফিট রাখবে এই খাদ্যাভাস। 


শরীরচর্চা করতেই ভোলবদল ডায়েটে। বেশি পরিমাণ খাবার খেতে হবে নিয়ম মেনে।  অন্যান্য ডায়েটগুলিতে কার্বস প্রায়ই থাকেই না, এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিমাণও খুব কম থাকে।  এই ডায়েটের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরো উল্টো। এতে কার্বহাইড্রেট কম খেতে হয় এবং ফ্যাট খেতে হয় বেশি। ফ্যাট খেলে কীভাবে মেদ ঝরবে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। এখানেই রয়েছে আসল ফান্ডা। দিনের প্রতিটি খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম এবং উপকারী ফ্যাট বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। এতে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে,তেমনি ভুড়িও কমবে। মোট ক্যালোরির ৩০ শতাংশ যেন ফ্যাট থেকে আসে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 


প্রসেসড ফুড, রেড মিড, ভাজা মিষ্টি এই সব ভুলে চিকেন, মাছ, ডিম,সব্জি, বাদাম, ডালজাতীয় খাবার. পিনাট বাটার, অলিভ অয়েল, ডার্ক চকোলেট, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি খেতে হবে। চার ঘন্টার বেশি খালি পেটে থাকবেন না। দিনে কম করে দুই লিটার জল খান। আরও ভাল ফল পেতে চাইলে আদা, পুদিনা, শশা, লেবু মিশিয়ে একটা বোতলে ভরে রেখে দিন কমপক্ষে ১০ ঘন্টা। তারপর সারাদিন এটা খেতে পারেন। বেশি পরিমাণে স্যালাড খান। স্যালাডে ড্রেসিং হিসেবে মেশান অলিভ অয়েল। পাউরুটির মধ্যে মাখনের বদলে পিনাট বাটার অথবা অলিভ অয়েল লাগিয়ে খান। সেদ্ধ সব্জির পুষ্টিগুণ রান্না করা সব্জির চেয়ে অনেক বেশি। বেশি পরিমাণে সেদ্ধ সব্জি খান। চাইলে সেই সব্জির মধ্যে কয়েকটা আমন্ড ও সামান্য অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন। মেদ ঝরাতে দই-এর অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। এবার সেই দইয়ের মধ্যে চকোলেট চিপস মিশিয়ে খান।রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ডার্ক চকোলেট খান এক টুকরো করে। 
এতদিন যেহেতু এক্সারসাইজ করেননি তাই কোথা থেকে শুরু করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এক্সারসাইজের অভ্যাস না থাকলে সবার প্রথমে হাঁটা শুরু করুন। কারণ হাঁটাতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থতার চাবিকাঠি। নিজেকে স্লিম এন্ড ট্রিম রাখতে প্রতিদিন হাঁটুন।