সংক্ষিপ্ত
- খাওয়া-দাওয়া ছাড়া যে-কোনও অনুষ্ঠানই ঠিক জমে না
- ইদে ধর্মের বেড়াজাল ছিঁড়ে রসনা তৃপ্তিতে এক হয়ে ওঠেন আপামোর বাঙালি-সহ গোটা ভারতবাসী
- জেনে নিন রমদানে কোন কোন খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
উৎসব, তা সে যা-ই হোক না কেন, খাওয়া-দাওয়া ছাড়া যে-কোনও অনুষ্ঠানই ঠিক জমে না। তেমনই ইদ এমনি এক উৎসব, যেখানে ধর্মের বেড়াজাল ছিঁড়ে রসনা তৃপ্তিতে এক হয়ে ওঠেন আপামোর বাঙালি। তবে খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে স্বাস্থ্য-সচেতনতার দিকটাও মাথায় রাখা দরকার। জেনে নিন রমদানে কোন কোন খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল-
১) মিষ্টি- মিষ্টি ছাড়া শুধু ঈদ কেন, কোনও অনুষ্ঠানই সম্পূর্ণ হয় না। সন্দেশ, সেমুই, পায়েস, কাস্টার্ড, পুডিং, লাচ্ছা- তালিকাটি কিন্তু শেষ হওয়ার নয়। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীরা অবশ্যই মিষ্টি খানিকটা এড়িয়ে চলুন। তবে যদি বাড়িতেই রান্নার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে অবশ্যই চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করুন গুড় বা প্রয়োজনে সুগার ফ্রী। তবে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কনডেন্সড মিল্ক এবং ঘি-এর ব্যবহার করা একাবারেই উচিৎ নয়। তবে খাওয়ার পর ডেসার্টে আইসক্রিমের পাশাপাশি থাকুক বেকড সন্দেশ।
২) মাংস- মাংসের কাবাব এক্ষেত্রে সবথেকে স্বাস্থ্যকর। কারণ, কাবাবের ক্ষেত্রে মাংসটি ঝলসানো হয় বলে রান্না করা ঝোলের মাংসের থেকে কাবাবের মাংসে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। তবে রান্নার সময়ে মাংসটি যাতে ভাল করে সেদ্ধ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর সঙ্গে পরোটা বাদ দিয়ে খান হাত রুটি।
৩) সালাদ- সুস্বাদু অথচ স্বাস্থ্যকর খাবারের এক আদর্শ উদাহরণ হল সালাদ। নিজের মনের মতো ফলের মধ্যে খানিকটা মধু সহযোগে খান ফ্রুট সালাদ।
৪) সরবত- ঈদের অনুষ্ঠান বাহারি সরবত ছাড়া ঠিক জমে না। সরবতের সফট ড্রিঙ্কের তালিকায় রাখতে পারেন, আম পান্না, দই'য়ের ঘোল, ডাবের সরবত। খাওয়ার পর দই খেলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেইসঙ্গে বানিয়ে নিতে পারেন ফ্রুট ককটেলও।
তবে যা-ই খান না কেন এই গরমে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না।