সংক্ষিপ্ত
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঘুম কীভাবে স্ট্রোকের সাথে জড়িত তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যারা খুব বেশি ঘুমায় তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং ওজন বাড়তে পারে। উভয়ই স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ।
মাসের শুরুতে ফ্ল্যাটের ইএমআই, ছেলে মেয়ের স্কুলের ফিজ, সংসার খরচ সঙ্গে অফিসের মাত্রাতিরিক্ত চাপ। একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা বলছে, এই সকল চাপের কারণেই ৩০ বছর বয়সের পর থেকে স্ট্রোকে (stroke)আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। তবে, শুধু মানসিক চাপ নয় অতিরিক্ত বিশ্রামের জন্যও হতে পারে স্ট্রোক। এমনই অবাক করা তথ্য উঠে এল গবেষণায়। যেখানে বলা হয়েছে, যারা অতিরিক্ত ঘুমান, তাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রক্তনালির একটি রোগ। সেই রক্তনালি ছিঁড়ে গেলে অথবা ব্লক হয়ে গেলে মস্তিষ্কের (Brain) টিস্যুতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হয়, যার ফলে হয় স্ট্রোক (Stroke)।
‘শুধুমাত্র কম ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, অতিরিক্ত ঘুম স্ট্রোক-সহ কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’ বলেছেন ডঃ জয়দীপ বনসাল (Dr Jaideep Bansal)। ফোর্টিস হাসপাতালের (শালিমার বাগ) (Fortis Hospital Shalimar Bagh) নিউরোলজি বিভাগের ডিরেক্টর এবং এইচওডি। তিনি আরও বলেন, "ঘুমের সময় আমাদের শরীর অনেকগুলি কাজ করে। ঘুম অপরিহার্য কারণ এটি মানসিক ক্লান্তি দূর করে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের ক্ষয়-ক্ষতি মেরামত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।" তবে, ৮ ঘন্টার বেশি ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সম্প্রতি, গবেষণায় (Research ) দেখা গেছে যে প্রতি রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমালে একজন ব্যক্তির স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি 85 শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ডঃ বনসাল আরও বলেন যে, "অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (Obstructive sleep apnea) স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ হিসাবে পরিচিত। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম ওএসএর অংশ।"
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঘুম কীভাবে স্ট্রোকের (Stroke) সাথে জড়িত তা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যারা খুব বেশি ঘুমায় তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং ওজন বাড়তে পারে। উভয়ই স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ। তাই সুযোগ পেলেই ঘুমের অভ্যেস থাকলে তা বদল করুন। কাজ নেই বলে অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুমান। এমনকী, অনেকেই আছেন যারা সুযোগ পেলে কয়েক মিনিটের জন্য হলেও ঘুমিয়ে নেন। অনেকের আবার যেখানে-সেখানে বসে ঘুমানোর অভ্যেস আছে। এই সকল অভ্যেস বর্জন করুন। সুস্থ থাকতে যেমন নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ঘুমাবেন না, তেমনই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রতিটি মানুষকে সুস্থ রাখে।