Forest Trip: এবার পুজোয় কদিন ছুটিতে ঘুরে আসুন গরুমারা ফরেস্ট। যেখানে রয়েছে আপনাদের জন্য আকর্ষণীয় পুজো স্পেশাল প্যাকেজ।

Forest Trip: পুজোর আনন্দ আর প্রকৃতির বুকে বন্যপ্রাণীর টানে মেতে উঠতে চাইলে এবারের গন্তব্য হতে পারে গরুমারা জাতীয় উদ্যান। দুর্গাপুজোতে যখন শহর জুড়ে আলোর রোশনাই, তখন উত্তরবঙ্গের অরণ্যে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এখানে মিলবে একই সঙ্গে বনভ্রমণের রোমাঞ্চ, একশৃঙ্গ গন্ড দেখার সুযোগ, আবার ইচ্ছে করলে হাতিদের স্নান করানোর আনন্দও।

যেগুলি দিয়েই পৌঁছনো যাবে কালীপুর হয়ে মেদলা ওয়াচ টাওয়ারে

আগামী মঙ্গলবার থেকে খুলে যাচ্ছে গরুমারার বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত বনাঞ্চল। তার আগেই বনদফতর পর্যটকদের জন্য সাজিয়েছে বিশেষ পুজো প্যাকেজ। কালীপুর, মেদলা ও ধূপঝোড়া এই তিনটি কেন্দ্রকে ঘিরেই সাজানো হয়েছে প্যাকেজের আয়োজন। রামশাইয়ের জঙ্গল থেকে শুরু করে মেদলা ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত ভ্রমণে মিলতে পারে হাতি, বাইসন কিংবা একশৃঙ্গ গন্ডারের দেখা। বনবাসীরা এখন মোষের গাড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত, যেগুলি দিয়েই পৌঁছনো যাবে কালীপুর হয়ে মেদলা ওয়াচ টাওয়ারে।

কোন পুজোয় পর্যটকেরাও আমন্ত্রিত অতিথি?

গরুমারায় রয়েছে আঠাশটি কুনকি হাতি। সাধারণত বন পাহারা ও সাফারিতে ব্যবহার করা হয় এদের। কিন্তু এবারে যুক্ত হচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা পর্যটকেরা হাতির স্নানঘর পর্যন্ত গিয়ে হাতিদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এটি নিঃসন্দেহে উত্তরবঙ্গ পর্যটনে এক বাড়তি আকর্ষণ। তবে শুধু বনভ্রমণ নয়, দুর্গাপুজোর আবহও এখানে জমে উঠবে। বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন জানিয়েছেন, প্রতিবছর বিচাভাঙায় বনবাসীরা বনদতরের সহযোগিতায় দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। সেই পুজোয় পর্যটকেরাও আমন্ত্রিত অতিথি। থাকছে পুজো দেখা, অঞ্জলি দেওয়া, ভোগ প্রসাদ খাওয়ার সুযোগ। সঙ্গে আদিবাসী মাদলের তালে পা মেলানোর আনন্দ তো আছেই।

সব মিলিয়ে এবারের গরুমারা প্যাকেজ একদিকে যেমন প্রকৃতির কোলে বনজীবনের স্বাদ দেবে, অন্যদিকে দুর্গাপুজোর সাংস্কৃতিক আনন্দকেও পৌঁছে দেবে এক ভিন্ন উচ্চতায়। বনদপ্তর মনে করছে, এই অভিনব প্যাকেজ পর্যটকদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এবং পুজোয় গরুমারার পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়াবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।