পুজোর পরে যদি কোন অফবিট জায়গা ঘুরতে চান তাহলে চলে যেতেই পারেন সিকিমের একটি শান্ত জায়গা রিংচেনপুং। এই গ্রাম প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার উপযুক্ত জায়গা। এছাড়াও এখানে বসেই আপনি দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।
কেউ কেউ পুজোর সময় অথবা পূজোর পরে কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আসতে চান পাহাড়ে? কেউবা কিছু অফবিট জায়গা পছন্দ করেন যেখানে শহরের শোরগোল থেকে অনেকটাই দূরে আপন মনে স্বজনদের নিয়ে কয়েকদিন ছুটি কাটাতে চান! তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের জন্য!
পুজোর রেশ কাটতেই বঙ্গে শীতের আগমন। গরম থাকলেও আবহাওয়া চেঞ্জ এর জন্য এখন থেকেই কিছু কিছু জায়গায় ভোরের দিকে হালকা শীতের আমেজ অনুভব করা যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। আর শীতকাল মানেই একটু পাহাড়ে ঢু মারা। তবে এবার শীতে এক ঘেয়ে দার্জিলিং নয়, বরং বেছে নিন সিকিমের একটি অফবিট জায়গা। ঘুরে আসুন পশ্চিম সিকিমের রিনচেনপুং থেকে। সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অফবিট জায়গাগুলি। নিরিবিলিতে, পাহাড়ের সেই সৌন্দর্য, খোলা নীল আকাশ, শীতল বাতাস অনুভব করতে কে না চায়? ভ্রমণ পিপাসু এবং পাহাড়প্রেমীদের জন্য এরকমই পারফেক্ট এক জায়গা হলো রিনচেনপুং।
৫৫৭৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত রিনচেনপুং। এটি ট্রেনিংয়ের খুব কাছের একটি অফবিট গ্রাম। এখানে সবুজে ঘেরা গোটা অঞ্চল রয়েছে। পাশাপাশি এইখানে ঘুরতে গেলে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে যাবে। কারণ এখানে না আছে শহরের কোলাহল না আছে দূষণ।পাশাপাশি এই গ্রামটি যেহেতু খুব একটা পরিচিত নয় তাই এই গ্রাম প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার উপযুক্ত জায়গা। এছাড়াও এখানে বসেই আপনি দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।
এছাড়াও রিনচেনপং ঘুরতে গেলে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন পেলিং কিংবা ভার্সে। সেখান থেকে আপনি যেতে পারেন, রাবদেনতসে রুইনস, রিম্বি জলপ্রপাত, চাঙ্গে জলপ্রপাত, কালুক গ্রাম ইত্যাদি জায়গা। আর হাতে যদি সময় বেশি থাকে তাহলে সে এই জায়গার আশপাশ আপনি ঘুরে দেখতে পারেন।
* কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন ভাবছেন ?
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রিনচেনপং দূরত্ব মাত্র ১২৮ কিলোমিটার। এখানে গাড়ি করে যেতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা। তাই আপনি পেলিং থেকে এইখানে যেতে পারেন। কারণ পেলিং থেকে যেতে ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার দূরত্ব পড়বে। এছাড়া এখানে ঘুরতে আসলে আপনি একাধিক হোমস্টে পাবেন। তবে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে আসলে আগের থেকে বুকিং করে আসাই শ্রেয়।


