সংক্ষিপ্ত
সন্ধ্যার পরে, সৈকতে অদ্ভুত কিছু চিৎকার শোনা যায় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। দূর থেকেও শোনা যায় আর্তনাদ। স্থানীয় লোকজনের মতে, এই সৈকতে যে আসে সে আর ফিরে আসে না।
গুজরাটের সুরাতের কাছে ডুমাস সমুদ্র সৈকতকে দেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্থানগুলির মধ্যে গণ্য করা হয়। এই সৈকতটিকে শ্মশান নামেও নামকরণ করা হয়েছে। অনেক হিন্দু শেষকৃত্যের জন্য এখানে আসেন। এই কারণেই স্থানীয়দের বিশ্বাস এখানে আত্মারা বাস করে। সকাল থেকে বিকাল ঘোরাঘুরি করতে আসা অনেকেই সন্ধ্যায় ফিরেও আসেন। রাতে এখানে থাকেন না কেউই। ভুতুড়ে গল্পের কারণে জায়গাটি অনেকাংশে জনবসতিহীন থেকে যায়।
যারা রাতে সমুদ্র সৈকতে যায় তারা ফিরে আসে না
সন্ধ্যার পরে, সৈকতে অদ্ভুত কিছু চিৎকার শোনা যায় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। দূর থেকেও শোনা যায় আর্তনাদ। স্থানীয় লোকজনের মতে, এই সৈকতে যে আসে সে আর ফিরে আসে না।
এখানে বালি কালো
এই সমুদ্র সৈকতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এর ইতিহাস, যা আরব সাগর সংলগ্ন এবং এই সৈকতটি সুরাট থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে। এখানে সবচেয়ে বড় কথা হল এখানকার বালি, যার রং কালো। মাঝখানের ইতিহাস কেউ জানে না।
স্থানীয়দের বক্তব্য
স্থানীয় লোকজন বলছেন, কয়েক শতাব্দী ধরে আত্মারা এখানে তাদের আস্তানা তৈরি করেছে এবং সে কারণে এখানকার বালি কালো হয়ে গেছে। এদিকে এখানেও দেহ পোড়ানো হয়। মানুষ বিশ্বাস করে যারা মোক্ষ পায় না বা অকাল মৃত্যু হয় তাদের আত্মা এখানে থাকে।
এটি আবার বিখ্যাত প্রেমের জায়গা
এটি একটি বিখ্যাত প্রেমের জায়গা, এখানে ঘুরতে আসা অনেক দম্পতি বলে যে এটি দিনের বেলায় বেশ সুন্দর দেখায়, তবে সন্ধ্যার পরে পুরোপুরি বদলে যায় এর রূপ। সৈকতর ভিতর থেকে কান্না আর চিৎকারের শব্দ ভেসে আসে।
তবে কেউ কেউ এখানে ভূতের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। তারা বলেন, এখানে রাতের বেলা কুকুর থাকে এবং তাদের আওয়াজে মানুষ ভয় পেয়ে এদিক ওদিক দৌড় দেয়। লোকে বলে, এখানে রাতের বেলা কুকুরগুলো চিৎকার করে ওদিকে দৌড়াতে দেখা যায়। তবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা আজও তা প্রমাণ হয়নি। তবে মাঝে মাঝেই রাতে বিচে হাঁটতে গেলে অনেকে ভিন্ন অনুভূতিও করে বলে জানা যায়।