শুরু হল বাংলার ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাসাগর মেলা, নাচে গানে জমজমাট সাগরপার
- FB
- TW
- Linkdin
গঙ্গাসাগর মেলা হল গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমে কুম্ভের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মানব সমাবেশ। গঙ্গা সাগর মেলায় দেশের পাশাপাশি বিদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা অংশগ্রহণ করে। মঙ্গলবার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীদের হাতে রাজ্য সরকারের বিশেষ শংসাপত্র দেওয়া হবে।
গঙ্গাসাগর মেলায় প্রচুর সংখ্যক হিন্দিভাষী তীর্থযাত্রী আসার কথা মাথায় রেখে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত সাইনবোর্ড, ব্যানার এবং হোর্ডিংগুলি হিন্দিতে লেখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে যাতে হিন্দিভাষী তীর্থযাত্রীদের সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়। এখানে থাকার সময় কোনও ধরনের সমস্যা না হয়।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি সমুদ্র-আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই প্রথম বার অস্থায়ী দোকানগুলির খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকছে। বিগত বছরগুলিতে যারা মহামারির কারণে মেলা বন্ধ থাকায় অন্য কাজ বেছে নিয়েছিলেন এই বছরে মেলা হওয়ার আবার নিজের পুরানো পেশায় ফিরছেন তাঁরা।
ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। আধিকারিক বলেছেন যে রাজ্য সরকার তীর্থযাত্রীদের দিকনির্দেশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর দ্বীপে কীভাবে পৌঁছাতে হবে তা বুঝতে সাহায্য করার জন্য ইংরেজি এবং বাংলা ছাড়াও হিন্দিতে লেখা সাইনবোর্ড, ব্যানার, হোর্ডিং এবং দিকনির্দেশ বোর্ড রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব শুরু হয়েছে ৮ তারিখ থেকে চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেলার চারপাশে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মেলার মাঠে রয়েছে একটি হাই-টেক মেগা কন্ট্রোল রুম, যেখানে ৫২টি এলইডি টিভি ও ১টি বড় এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাগর দ্বীপে যান। সেখান থেকে তিনি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবি জানান।
বারাণসীর মতো গঙ্গাসাগরের মেলায়ও আরতির বিশেষ আয়োজন। এ জন্য একটি বিশেষ মঞ্চও তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১১০০ টি সিসি ক্যামেরা। ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে ও স্পিড বোটেও চলবে নজরদারি।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ৫০০ টি বেসরকারি বাস এবং ২২৫০টি সরকারি চালু থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া জলপথে থাকবে ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল ও ১০০টি লঞ্চ চলবে। এছাড়াও থাকছে ২৫টি ইঞ্জিন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ১০টি অস্থায়ী দমকল চালু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।