শীতে ঘুরে আসুন পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় থেকে খুব অল্প দূরত্বে একটি অফবিট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোরা স্থান কুহুবুরু।

শীতকাল কুহুবুরু ঘুরে আসার সেরা সময়। কারণ এই সময়ে চারপাশের পরিবেশ থাকে মনোরম ও আরামদায়ক, যদিও বসন্তের পলাশ ফুল পাওয়া যায় না; এখানকার হোমস্টেগুলিতে থেকে পাহাড়ের শোভা উপভোগ করতে পারেন, ছোট ট্রেকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়া যায়, আর এখান থেকে অযোধ্যা পাহাড়, বাঘমুন্ডি, মুরগুমা, ছৌ মুখোশের গ্রাম চড়িদা এবং বিভিন্ন জলপ্রপাত ঘুরে আসা যায়, যা পুরুলিয়ার প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে নতুনভাবে চিনতে সাহায্য করবে।

কুহুবুরু কেন যাবেন শীতে?

আরামদায়ক আবহাওয়া: শীতকালে এখানকার আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক থাকে, যা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: শীতের শান্ত পরিবেশে পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করা যায়, যদিও বসন্তের লাল পলাশ থাকে না, তবুও অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

অফবিট ডেস্টিনেশন: এটি পুরুলিয়ার একটি শান্ত ও অফবিট জায়গা, যা ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করে।

কীভাবে যাবেন?

ট্রেন: পুরুলিয়া স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনে আসুন, তারপর সেখান থেকে কুহুবুরু প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে (বাঘমুন্ডি-পুরুলিয়া রোড ধরে)।

সড়কপথ: কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম, লোধাশুলি হয়ে সড়কপথেও যাওয়া যায়।

থাকার ব্যবস্থা:

হোমস্টে: কুহুবুরুর আশেপাশে বেশ কিছু ভালো হোমস্টে আছে, যা প্রকৃতি-বান্ধব অভিজ্ঞতা দেয়। হোটেল নয়, হোমস্টে এখানে থাকার প্রধান আকর্ষণ।

আশেপাশে ঘোরার জায়গা:

ট্রেকিং: কুহুবুরু পাহাড়ের চূড়ায় হেঁটে যাওয়া যায়, যেখান থেকে চারপাশের দৃশ্য অসাধারণ লাগে।

অযোধ্যা পাহাড়: কুহুবুরু থেকে সহজেই অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়া যায়।

ছৌ মুখোশের গ্রাম (চড়িদা): ছৌ নাচের মুখোশ তৈরির এই গ্রামটি ঘুরে আসতে পারেন।

জলপ্রপাত: শীতকালে বরদি ঝরনায় জল কম থাকলেও, বর্ষায় এর রূপ অসাধারণ।

অন্যান্য দর্শনীয় স্থান: আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনি ফলস, মুরগুমা জলাধার, মার্বেল লেক, পাখি পাহাড় ঘুরে দেখতে পারেন।

ভ্রমণ টিপস: দু'দিন কুহুবুরুতে কাটিয়ে বাকি দিনগুলি অযোধ্যা পাহাড় বা মুরগুমায় কাটাতে পারেন। শীতের সকালে ট্রেকিং করলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।