Offbeat Travel Tips: অ্যামাজনের নাম করলেই মনে পড়ে যায় ঘন সেই জঙ্গলের কথা। কিন্তু এই শীতেই ঘুরে আসা যেতে পারে কলকাতার মধ্যেই অবস্থিত মিনি অ্যামাজন থেকে। 

Offbeat Travel Tips: অ্যামাজন জঙ্গল হল বিশ্বের সবথেকে বড় জঙ্গল। তবে এখানে যেতে হলে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে আপনার। কিন্তু আর চিন্তা নেই, কারণ আপনাকে যদি বলি মিনি অ্যামাজন জঙ্গল আপনি কলকাতাতেই পেয়ে যাবেন তাহলে কেমন হয়? শুনে চমকে গেলেন তো?

বাংলার বুকেও রয়েছে মিনি অ্যামাজন!

ঘাবড়াবেন না। এই মিনি অ্যামাজনটি হল চিন্তামনি কর বার্ড স্যাঙ্কচুয়ারি। যা পূর্বে "কায়লার বাগান" নামে পরিচিত ছিল।এটি কলকাতার কাছে অবস্থিত একটি পাখির অভয়ারণ্য। এটি বিভিন্ন ধরনের পাখি, প্রজাপতি, ফার্ন এবং অর্কিডের জন্য বিখ্যাত, এবং এটি বিখ্যাত ভাস্কর চিন্তামণি কর-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি নেতাজি সুভাষ রোডের পশ্চিমে, নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত এবং এটি একটি সংরক্ষিত এলাকা যা মূলত জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

অনেকেই হয়তো জানেন না যে কলকাতার বুকেই রয়েছে অ্যামাজন জঙ্গলের মতো এই ঘন জঙ্গল। যেখানে গেলে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এখানে এলে আপনি বন্য শেয়াল, পাখি, গোসাপ এবং আরও অন্যান্য প্রজাতির পশু পাখি দেখার সুযোগ পাবেন। এমনকি রয়েছে ওয়াচ টাওয়ারও যেখান থেকে আপনি গোটা জঙ্গলের দারুণ কিছু দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন জায়গাটি কোথায়? তাহলে জানিয়ে রাখি, আজ কথা হচ্ছে চিন্তামনি কর বার্ড স্যাঙ্কচুয়ারি নিয়ে।

৫২ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয়েছে এই পাখিরালয়। সামনেই শীতকাল আসছে। আর এই সময়ে প্রকৃতি দেখার মজাই আলাদা। সেইসঙ্গে চড়ুইভাতি তো রয়েইছেই। সকাল সকাল নিজেদের গাড়ি করে বেরিয়ে পড়তে পারলে, বারুইপুর যাওয়ার পথেই এক বার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন চিন্তামণি কর পাখিরালয়ে। কলকাতা থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাখিরালয়ে প্রায় দু’শো প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাখি দেখতে বা পাখির ডাক শুনতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁদের কাছে এটি স্বর্গরাজ্য।

* কিভাবে যাবেন:

* ট্রেনে: হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল নরেন্দ্রপুর। শিয়ালদহ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং হাওড়া থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

* গাড়িতে: গড়িয়া থেকে বারুইপুর বাইপাস ধরে গেলে প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়।

* বাস বা অটোতে: গড়িয়া বা অন্য কোনো জায়গা থেকে অটো ধরে নরেন্দ্রপুর রথতলায় নামতে পারেন, এবং সেখান থেকে হেঁটে অথবা টোটোতে করে প্রায় ৫ মিনিটে অভয়ারণ্যে পৌঁছানো যায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।