উত্তর বঙ্গের 'মিনি পেহেলগাম' শুনেছেন আগে? এক্কেবারে অফবিট, পাইনবনের ফাঁক দিয়ে মেঘেরা হাতছানি দিয়ে ডাকে, দুটো দিন ঘুরে আসতে।

শহরের কোলাহল থেকে দূরে দু’দিনের ছুটি কাটাতে চাইলে উত্তরবঙ্গের বুকে লুকিয়ে থাকা গ্রাম মাঝিধুরা, হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। দার্জিলিং-এর কাছেই পাহাড়ের কোলে অবস্থিত, ঘরের জালনা খুললেই মেঘ ধরা দেবে আপনার কাছে। মাঝিধুরার চারিপাশের পাইনবন, পাহাড়ি অঞ্চল - অনেকের কাছেই উত্তর ভারতের 'পেহেলগাম'র মতো।

কী কী ঘুরে দেখবেন?

১। পাইন জঙ্গল

মেঘে ঢাকা পাহাড়ি ঘন পাইনবনই হলো এখানকার প্রধান আকর্ষণ। পাইন বনের ফাঁক দিয়ে নেমে আসা মেঘ - ছবির মতো চোখে ভেসে থাকবে আপনারও।

২। মানি চোলিং মনেস্ট্রি

একটি বৌদ্ধ মঠ রয়েছে, মানি চোলিং মনেস্ট্রি ঘুরে দেখতে পারেন। স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

৩। লেপচাজগত ও সুখিয়াপোখরি ভ্রমণ

মাঝিধুরা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বেই রয়েছে লেপচাজগত ও সুখিয়াপোখরি। এই জায়গাগুলিতে হালকা ট্রেকিং কিংবা ডে ট্রিপ করা যায়।

৪। সীমান্ত পয়েন্ট ও দার্জিলিং টাউন

চাইলে দিনভর ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং শহর কিংবা ইন্ডিয়া-নেপাল বর্ডার পয়েন্ট।

কোথায় থাকবেন?

মাঝিধুরা খুবই ছোট গ্রাম, আর জনসংখ্যাও কম। তবে এখানে হোমস্টের সংখ্যা বেশ, প্রায় ৭-১০টি হোমস্টে আছে। ছুটির দুই রাত কাটাতে পারবেন অনায়াসেই।

কীভাবে যাবেন মাঝিধুরা?

মাঝিধুরা লেপচাজগত ও সুখিয়াপোখরির ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। শিলিগুড়ি থেকে মাঝিধুরার দূরত্ব প্রায় ৬৭ কিলোমিটার। সুখিয়াপোখরি থেকে মাত্র ১ কিমি আগে একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে, তার উল্টো দিকের রাস্তা নেমে গেছে মাঝিধুরার দিকে।

এখানে আসার জন্য প্রথমে হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) আসতে হবে। NJP থেকে শিলিগুড়ি হয়ে গাড়ি করে মাঝিধুরা পৌঁছানো যায়।