দক্ষিণ সিকিম ভ্রমণের তালিকায় আরও একটি নাম যোগ করা যায় - বোরং। পেলিং, রাবাংলা, গ্যাংটক অনেক তো হলো, নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে পুনরায় ছুটি কাটাতে বেস্ট গন্তব্য হতে পারে আপনার।
পুজোর লম্বা ছুটিতে একটা পাহাড়ি ভ্রমণ তো করাই যায়। পেলিং, গ্যাংটক অনেক তো হলো, এবার নাহয় একটু নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে হোক গন্তব্য। ভিড় ঠেলে, নির্জনতা ও সৌন্দর্যের খোঁজে যেতে পারেন দক্ষিণ সিকিমের এক অফবিট পাহাড়ি গ্রাম - বোরং।
৫৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গ। সিকিমের পেলিং বা রাবাংলা শহরগুলির মত এখানে নেই জনবহুলতা, নেই অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়—আছে শুধু নীরব প্রকৃতি, মেঘের আনাগোনা, সূর্যোদয় আর হিমালয়।
বোরংয়ের সকাল মেঘের চাদরে ঢাকার আগেই দেখা দেবে হিমালয়ের সাদা চূড়া। কারণ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও থেকে এক গুচ্ছ মেঘ ঘিরে ধরে। এখানকার স্থানীয় হোমস্টেগুলিতে কয়েকটা দিন কাটালে চিন্তামুক্তি ঘটবেই। রিস্টার্ট করতে পারবেন মন ও শরীর।
কী দেখবেন বোরংয়ে?
এখানে আপনি দেখতে পাবেন বৌদ্ধ গুম্ফা ও ঝুলন্ত ব্রিজ। পাশাপাশি এখানে আপনি হ্যান্ডমেড কাগজ তৈরির কারখানাও দেখতে পাবেন। চারিদিক সবুজে ঢাকা মাঝে হিমালয়ের পর্বতচূড়া মাউন্ট নারসিং- নজর কাড়বে আপনার। গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন রাবাংলা এবং রাবাংলা জনপ্রিয় মনাস্ট্রি, রালাংয়ের মনাস্ট্রি, রালং হট স্প্রিং ও সিলভার জলপ্রপাত।
এই বোরং গ্রামে জনবসতি কম হওয়ায় পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন গোটা গ্রাম, প্রকৃতি সৌন্দর্য চোখে লাগার মতো। পাশাপাশি বোরং থেকে মেনামের জঙ্গলের ট্রেকিং করেও আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন, কীভাবে যাবেন?
হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) ট্রেন ধরে সেখান থেকে গাড়িতে আসতে পারেন বোরং, দূরত্ব পড়বে ১৬১ কিমি, সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘণ্টা। চাইলে নামচি হয়েও আসতে পারেন।
অন্যদিকে বোরং জনবহুল নয় বলে এখানে কিছু নির্দিষ্ট হোমস্টে-ই মূল ভরসা। তবে আগে থেকে বুকিং করে গেলে সুবিধা হবে। এছাড়া পাহাড়ি আতিথেয়তা ও স্থানীয় খাওয়াদাওয়া—আপনার মন ও পেট দুই শান্ত করতে পারবে।
