ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর অবস্থিত বিখ্যাত সরাইঘাট ব্রিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অধীনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু রয়েছে। এই সেতুগুলির কাঠামোর কিছু অংশ সারা বছরই ডুবে থাকে। 

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে উন্নত রিমোটলি অপারেটেড রোবোটিক ভেহিক্যালপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ব্রিজের আন্ডার ওয়াটার এবং কাঠামোগত পরিদর্শন সফলভাবে শেষ করেছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর অবস্থিত বিখ্যাত সরাইঘাট ব্রিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অধীনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু রয়েছে। এই সেতুগুলির কাঠামোর কিছু অংশ সারা বছরই ডুবে থাকে, যার ফলে জলতলের পরিদর্শন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

এবার যে কাজটি মানুষ কখনোই করতে পারেনি, সেই কাজটি করে দেখাবে টেকনোলজি। অর্থাৎ ইন্ডিয়ান রেলওয়ে (Indian Railway) ব্রিজের নিচের পরিকাঠামো দর্শন করতে ব্যবহার করল রোবট। এই ঐতিহাসিক কাজটি করা হল সরাইঘাট ব্রিজ, ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর নির্মিত ভারতের প্রথম রেলসহ সড়ক ব্রিজ। যা ১.৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা ও পান্ডু কে সংযুক্ত করে।

উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেল-সড়ক লাইফলাইনের মধ্যে একটি হিসেবে, এর নিরীক্ষণ আরওআরভি জরিপ, লিডার, থার্মাল ইমেজিং, গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার (জিপিআর) এবং আল্ট্রাসনিক পালস ভেলোসিটি (ইউপিভি) পরীক্ষার সমন্বয় ব্যবহার করে পরিদর্শন করা হয়েছিল। মূল্যায়নগুলিতে পিয়ার ক্যাপ, কূপের ভিত্তি, পানীর নিচের স্কোর জোন, সুপারস্ট্রাকচার স্ট্রেস পয়েন্ট এবং ডেক কম্পোনেন্টস অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতিমধ্যে, অলিপুরদুয়ার ডিভিশনে ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করা হয়েছে, যেখানে আরওআরভি ডুবে যাওয়া স্তম্ভ, নদীর তল এবং সম্ভাব্য ত্রুটির হাই-রেজোলিউশনের ভিজ্যুয়াল ক্যাপচার করেছে।

যদিও, ২০২৪-২৫ সালে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আরওআরভি ব্যবহার করে ১৩টি ব্রিজের পরিদর্শন করেছে। পাশাপাশি ২০২৫-২৬ সালে, ইতিমধ্যেই ৩৪টি অতিরিক্ত ব্রিজ পরিদর্শন করা হয়েছে। আর এই তথ্যগুলি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাঠামোগত অবস্থা পর্যবেক্ষণের নির্ভুলতা বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে সময়োপযোগী প্রতিরোধমূলক রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করে। যা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সমগ্র অঞ্চলে প্রধান ব্রিজগুলির ধারাবাহিক সুরক্ষা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে আধুনিক পরিদর্শন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।