Sikkim Darjeeling Tourism: “পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছি, কিন্তু তাতে সেভাবে সাড়া মিলছে না” এমনটাই দাবি রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসুর।
Sikkim Darjeeling Tourism: এই গ্রীষ্মের ভরা মৌসুমেও ভিড় নেই উত্তরবঙ্গে। পর্যটকরা একের পর এক রিজার্ভেশন বাতিল করছেন। সিকিম ও দার্জিলিংয়ের হোটেল, হোমস্টে এবং ট্যুর অপারেটদের রীতিমতো ঘাটা। ট্যুর অপারেটর সংগঠনগুলোর দাবি, ইতিমধ্যেই মে-জুন মাসের বুকিংয়ের অর্ধেকের বেশি বাতিল হয়েছে। এমনভাবে চললে সামগ্রিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হবে বলে আশঙ্কা।
ভারত-পাক অশান্তিতে আগে থেকেই দার্জিলিং সিকিমের পর্যটনে প্রভাব পড়েছিল, এখন তার আরও বাড়বাড়ন্ত। এর সাথে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে সংস্কারের কাজ পর্যটককে আরও বিমুখ করেছে উত্তরেবঙ্গ থেকে।
পর্যটন সংস্থাগুলির সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পর্যটন থেকে আয় ছিল সর্বাধিক, যা পৌঁছেছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১৮৬৩. ৮৭১ মিলিয়ন বা প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকায়। রাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদনে পর্যটনের অবদান বর্তমানে প্রায় ১৮ শতাংশ।
এ বছর সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ডুয়ার্সে পর্যটকের ঢল নামার আশা ছিল। অথচ জুন মাসের আগাম বুকিং প্রায় নেই বললেই চলে। এ প্রসঙ্গে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি সম্রাট স্যান্যাল জানান, “আমার একার প্রায় ২১ লক্ষ টাকার বুকিং বাতিল হয়েছে। সব ট্যুর অপারেটরের ক্ষতির হিসাব করলে সংখ্যাটা ভয়াবহ হবে। আমার অনুমান, এ বছর পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। তবে এবারের ক্ষতির জন্য শুধু যুদ্ধ পরিস্থিতিই দায়ী নয়।
পর্যটনের ভরা সময়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রেখে মেরামতের কাজ করাটাও প্রধান কারণ। কেউই এত টাকা খরচ করে এসে ট্র্যাফিক জ্যামে পড়তে চায় না।” আবার রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছি, কিন্তু তাতে সেভাবে সাড়া মিলছে না।”


