সংক্ষিপ্ত
মাত্র পাঁচ হাজার টাকায়তেই এবার পাহাড় ভ্রমণ সম্ভব। কীভাবে? জেনে নেওয়া যাক।
শীতের মরশুমের শুরুতেই জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে কাছেপিঠে বেড়াতে যেতে চান? কিন্তু সময় ও টাকা দুই-এরই অভাব? এবার সেই চিন্তা ভুলে যান। অল্প খরচে দু-দিনের জন্য বেড়িয়ে আসতে পারেন পাহাড় থেকে। মাত্র পাঁচ হাজার টাকায়তেই এবার পাহাড় ভ্রমণ সম্ভব। কীভাবে? একটু পরিকল্পনা করে এগোলেই মাত্র হাজার পাঁচেক টাকাতেই ঘুরে আসতে পারবেন ঋষিকেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো নৈশর্গিক জয়গা থেকে। খরচ পড়বে মাত্র হাজার পাঁচেক টাকার মধ্যে। কীভাবে? জেনে নেওয়া যাক।
কোথায় যাবেন? কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
ঋষিকেশ বা উত্তরাখণ্ড যেতে ট্রেনের টিকিট পড়ে ১৫০০ থেকে ২৪০০০ টাকা। থাকার ঘরের খরচ পড়বে ১৫০ টাকা। ঋষিকেশ থেকে খুবই কাছে অবস্থিত বারাণসী থেকেও ঘুরে আসতে পারেন আপনি সহজেই। উত্তরপ্রদেশের এই অন্যতম জনপ্রিয় স্থানে থাকার খরচা খুবই কম। ভারতের প্রায় সমস্ত শহর থেকেই বারাণসীতে যাওয়ার পরিবহণ ব্যবস্থাও রয়েছে।
এত গেল উত্তর ভারতের কথা। এছাড়া একই বাজেটে দক্ষিণ ভারতের মনোরম পরিবেশ উপোভোগ করারও উপায় রয়েছে। কর্ণাটক রাজ্যের তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে অবস্থিত ছোট শহর হাম্পি। শাড়ি শাড়ি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ও অপার সৌন্দর্য আপনাকে এক নৈস্বর্গিক অনুভূতি দিতে পারে। এই শহর অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং ভ্রমণের পক্ষে উপোযোগী। চেন্নাই, কোয়েম্বাত্তোর বা সালেম থেকে সহজেই পৌঁছন যায় এই শহরে।
এছাড়া অল্প খরচে ঘুরে আসতে পারেন হিমাচলপ্রদেশের আরও একটি শহরে। দিল্লি থেকে অনিতিদূরে অবস্থিত শহর ম্যাকলিওডগঞ্জ। যাতায়াতের খরচ যেমন কম তেমনই সস্তায় পাওয়া যায় থাকার জায়গাও। মাত্র ২০০-৫০০ টাকার মধ্যেই থাকার জায়গা পাবেন পর্যটকরা। এছাড়া যেতে পারেন হিমাচলপ্রদেশের কসৌল শহরেও। মাত্র ৮০০ টাকার বাসের টিকিট কেটেই পৌঁছে যাবেন এই শহরে। কসৌলের অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।
দক্ষিণে বেড়াতে যেতে চাইলে রয়েছে কেরলের ভারকালা সৈকত। এই সৈকতকে 'লিটিল গোয়া'-ও বলা হয়। সমুদ্রের কাছেই মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয় গেস্ট হাউজের ভাড়া। এছাড়া তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী। এই সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত বা সূর্যদয় দেখার অনুভূতি একেবারে আলাদা। এছাড়া দিল্লি থেকে ট্রেনে মাত্র ৯ ঘন্টার দূরত্বে যেতে পারেন উত্তরাখণ্ডের বিনসর ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারিতে।