ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ঔরঙ্গাবাদ জেলার ইলোরা গুহার মধ্যে অবস্থিত এক বিস্ময়কর সৃষ্টি— কৈলাস মন্দির। প্রায় অষ্টম শতাব্দীতে সম্পূর্ণ একটি পাহাড় খোদাই করে তৈরি করা হয় এই মন্দির, যা আজও বিশ্বের একমাত্র 'মনোলিথিক' বা এক-পাথর খোদাই করা শিব মন্দির।
ঔরঙ্গজেব কর্তৃক ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি বলে কথিত এমন একটি মন্দির হল মথুরার কেশব দেবের মন্দির। যা স্বয়ং বিশ্বকর্মা তৈরি করেছেন বলে ভক্তরা বিশ্বাস করেন। এই কিংবদন্তী অনুসারে, ঔরঙ্গজেব মথুরায় তার বাহিনী পাঠিয়েছিলেন এবং ফৌজের ফৌজদারকে মন্দিরের ক্ষতি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা সেটি ভাঙতে পারেনি। মন্দিরের নির্মাণে বিশ্বকর্মার অলৌকিক হাত ছিল বলে মনে করা হয়, যা ঔরঙ্গজেবের বাহিনীকে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছিল।

* ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
ঔরঙ্গজেবের শাসনাকালে ভারতে অনেক মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল। মথুরার মন্দিরটিও তার আক্রমণের শিকার হয়েছিল এবং ঔরঙ্গজেব এটিকে ধ্বংস করার জন্য তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
* কিংবদন্তীর উৎপত্তি: এই মন্দিরের একটি কিংবদন্তী অনুসারে, এটি স্বয়ং বিশ্বকর্মা কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। যেহেতু এটি ছিল দেব-নির্মিত, তাই কোনো মানব-নির্মিত শক্তির পক্ষে এটিকে ধ্বংস করা সম্ভব ছিল না। এই বিশ্বাসটি ঔরঙ্গজেবের সৈন্যদের ব্যর্থতাকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।
* ঐতিহাসিক এবং কিংবদন্তীর মধ্যে পার্থক্য: যদিও ঔরঙ্গজেব মন্দিরটি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু তিনি সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে পারেননি বলে মনে করা হয়। এটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং ভক্তদের বিশ্বাসের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করে।যেখানে কিংবদন্তীটি ঔরঙ্গজেবের ব্যর্থতাকে ব্যাখ্যা করে।
* আধুনিক মন্দিরের ইতিহাস: এই ঘটনার পরে, মথুরার মন্দিরটি নতুন করে নির্মিত হয় এবং এখন এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। এটি এখনও মথুরায় বিদ্যমান এবং ভক্তদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান।
* মন্দিরের তাৎপর্য: কেশব দেবের মন্দিরটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং এটি ঔরঙ্গজেবের সামরিক অভিযান এবং মন্দির ধ্বংসের বিরুদ্ধে ভক্তদের প্রতিরোধের প্রতীকও। এটি ভক্তদের বিশ্বাস এবং কিংবদন্তীর এক চমৎকার উদাহরণ, যা আজও বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

অজন্ত ইরোলা-
মহারাষ্ট্রের ঔরাঙ্গাবাদ জেলায় অবস্থিত। ঔরাঙ্গাবাদ থেকেও যেমন যাওয়ায় যায় তেমন পুনে থেকেও যাওয়া যায়। মুম্বই থেকে ট্রেনে যাওয়া যায়। বিমান ও সড়কপথে যোগাযোগও রয়েছে।
ভ্রমণের সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস। অজন্তা ও ইলোরা দুটি স্থানের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। দুটি স্থান ঘুরতে কমপক্ষে দুই দিন সময় লাগে। আশপাশে বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
