সংক্ষিপ্ত
- দেশ বেড়িয়ে দেখার আগে একবার নিজের রাজ্যটাকে ভালো করে চিনে নিন
- বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যা এখনও পর্যটকদের কাছে সে ভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি
- এমন নিরিবিলি এলাকা থেকে বেড়িয়ে আসুন। এমনই একটি জায়গা হল মুরুগুমা লেক
- অযোধ্যা পাহাড়ে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁরাও চাইলে দেখে আসতেন পারেন মুরুগুমা লেকের সৌন্দর্য
দেশ বেড়িয়ে দেখার আগে একবার নিজের রাজ্যটাকে ভালো করে চিনে নিন। বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যা এখনও পর্যটকদের কাছে সে ভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। এমন নিরিবিলি এলাকা থেকে বেড়িয়ে আসুন। এমনই একটি জায়গা হল মুরুগুমা লেক। অযোধ্যা পাহাড়ে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁরাও চাইলে দেখে আসতেন পারেন মুরুগুমা লেকের সৌন্দর্য।
মুরুগুমা লেকের মূল আকর্ষণই হল এখানকার সহজঝোরার বিশাল জলাধার। বর্ষায় এই জলাধার আরও ভরে ওঠে। এছাড়া এখানের বন জঙ্গলে দেখা যায় বিভিন্ন রকমের গাছপালা, পরিযায়ী পাখি ইত্যাদি। এছাড়া রাতে যেন এখানকার ড্যামের ধারে উৎসব হয়। ক্যাম্প ফায়ারের সঙ্গে আদিবাসীদের নৃত্য, খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে এক মায়াবী রূপ ধারণ করে এই ড্যাম। আগে থেকে বলে রাখলে ছৌনাচও দেখা যায়। এখানে প্রচুর শিয়ালও দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ হাত বাড়ালেই মেঘ ছোঁয়া যায়! ঝরনার জলের শব্দে ভরা কোলাখাম যাবেন কী ভাবে, খরচই বা কত
মুরুগুমা যাওয়ার সেরা সময় হল শীতকাল। শীতের রাতে এই এলাকা দেখতে অসাধারণ লাগে। তবে সঙ্গে যথেষ্ট মাত্রায় শীতের পোশাক সঙ্গে রাখা উচিত। রাতে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রির কাছে চলে যায়।
বর্ষাতেও এই এলাকা সেজে ওঠে। চারিদিক নীল ও সবুজ রঙে ভরে ওঠে। এখানকার আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম ঘুরে দেখুন। হাতে সময় থাকলে বাঘমুণ্ডিও ঘুরে নিতে পারেন।
কী ভাবে যাবেন মুরুগুমা লেক-
পুরুলিয়া যাওয়ার ট্রেন ধরুন। ঝালদা স্টেশনে নেমে পড়ুন। মুরি স্টেশনেও নামতে পারেন। এবারে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান মুরুগুমা লেক। পুরুলিয়া থেকে এর দূরত্ব ৪৫ কিমি। কলকাতা থেকে এর দূরত্ব ৩৩৫ কিমি। যদি বাইকে বা গাড়িতে যান ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে যান।
থাকবেন কোথায়-
এখানে হোম স্টে-র ব্যবস্থা রয়েছে। ড্যামের পাশেই রয়েছে একটি রিসর্ট। অনলাইনে থাককার ব্য়বস্থা বুকিং করে তার পরে যান।