সংক্ষিপ্ত
- মন্দিরে পুজো দেওয়া মানেই প্রসাদ হিসেবে ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি ভোগ খাওয়া
- কিন্তু এরও ব্যতিক্রম রয়েছে। কেরলের এক মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে এর কোনওটাই দেওয়া হয় না
- এই মন্দিরে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই
মন্দিরে পুজো দেওয়া মানেই প্রসাদ হিসেবে ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি ভোগ খাওয়া। কিন্তু এরও ব্যতিক্রম রয়েছে। কেরলের এক মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে এর কোনওটাই দেওয়া হয় না। এই মন্দিরে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই।
কেরলের ত্রিশূরের মহাদেব মন্দির। এখানে পুজো করলেই ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে পান বই। তবে শুধু বই নয়। ভক্তদের হাতে পড়াশোনা সম্পর্কিত সামগ্রী তুলে দেওয়াই এই মন্দিরের রীতি।
আরও পড়ুনঃ বেড়িয়ে আসুন ইটাচুনা রাজবাড়ি থেকে! সস্তা থেকে দামি, সব রকমের থাকার ব্যবস্থা জেনে নিন
অন্যান্য মন্দিরে ভক্তরা গেলে ঈশ্বরের প্রসাদ হিসেবে পান ফুল, মিষ্টি, পোশাক, ইত্যাদি। কেরলের এই মন্দিরে বই ছাড়াও প্রসাদ হিসেবে পাওয়া যায় খাতা, কলম, পড়াশোনা সংক্রান্ত সিডি, ডিভিডি, কলম, ইত্যাদি। ভক্তরাই মহাদেবকে উৎসর্গ করার জন্য বই, পেন, খাতা, পেনসিল ইত্যাদি নিয়ে আসেন।
দিঘা-পুরী নয়, হাতে সময় কম থাকলে যান হি বারমিওক! কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন জানুন
মন্দিরের পুরোহিতরা বলেন, জ্ঞানকেই তাঁরা আসল প্রসাদ বলে মনে করেন। তাই ভক্তের জ্ঞান বিস্তারের জন্য তাঁরা ভক্তদের বই দেওয়া হয়।
এই মন্দিরে কোনায় কোনায় শিক্ষার ছোঁয়া। মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে বহু বিখ্যাত মানুষের ছবি। এঁদের মধ্যে রয়েছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, সিভি রমন, এপিজে আবদুল কালাম, গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজান। কেরলের এই শিবমন্দিরের সঙ্গে পড়াশোনা ও শিক্ষা এতটাই জড়িয়ে যে শিশুর অক্ষর জ্ঞান হওয়ার পরে মা-বাবারা তাদের এই মন্দিরে নিয়ে আসেন। তাঁদের বিশ্বাস এতে ছেলেমেয়েদের বুদ্ধি, জ্ঞান বাড়বে।