সংক্ষিপ্ত

আমের আঁটি খেয়ে শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি করতে পারেন। এছাড়া এর থেকে অনেক বড় সুবিধাও পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এর আঁটির আরও কী কী উপকারিতা রয়েছে।
 

এই ধরনের লোকদের জন্য খুবই উপকারী আম। বিশেষ করে যারা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের নিয়ম গ্রহণ করেন। আম খাওয়ার পর যদি আপনি এর আঁটি ফেলে দেন, তাহলে এমনটি করবেন না। কারণ এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী। আমের আঁটি খেয়ে শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি করতে পারেন। এছাড়া এর থেকে অনেক বড় সুবিধাও পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এর আঁটির আরও কী কী উপকারিতা রয়েছে।
আমের আঁটি পেটের জন্যও উপকারী 
শুধু আম নয়, এর আঁটিও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি যদি আমের আঁটি খান তবে এটি আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এছাড়া আমের আঁটি পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতেও বেশ উপকারী। 
একটি আমের পুষ্টিগুণ?
আমে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। ১ কাপ কাটা আমে ৯৯ ক্যালোরি, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ২.৬ গ্রাম ফাইবার, ৬৭ শতাংশ ভিটামিন সি, ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২২.৫ গ্রাম চিনি, ১৮ শতাংশ ফোলেট, ১০ শতাংশ ভিটামিন ই এবং ১০ শতাংশ ভিটামিন এ রয়েছে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত?
একটি খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) র‌্যাঙ্ক বলতে ০-১০০ স্কেলে পরিমাপ করা হয়, যেখানে ৫৫ পর্যন্ত খাবারে চিনির পরিমাণ কম বলে বিবেচিত হয়। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স র‍্যাঙ্ক ৫১, এমনকি সুগারের রোগীরাও এটি সীমিত পরিমাণে খেতে পারেন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে
এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের আমের আঁটি খাওয়া উচিত। এটি খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অর্থাৎ আমের আঁটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। 

আরও পড়ুন- এই সরকার বেকার যুবকদের প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা পর্যন্ত দেয়, এভাবে আবেদন করুন

আরও পড়ুন- গরমে পেট সুস্থ রাখতে মুগ-মসুর ডাল মিশিয়ে খান, জেনে নিন এর উপকারিতা

আরও পড়ুন- দুধের উপর ঘন মালাই পেতে চান, তবে কাজে লাগান এই দেশীয় টোটকা

আমের আঁটি থেকেও এই সুবিধা পাওয়া যায়

পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আমের কুঁচিও খেতে পারেন । এটি আপনার মেয়েদের এবং মহিলাদের ব্যথা কমিয়ে দেবে। 
হার্ট ফিট রাখতেও এই কার্নেল খুবই উপকারী। অর্থাৎ হৃদরোগীদের অবশ্যই এটি খেতে হবে। আসলে, আপনি যখন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেন, তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। 
এটি দাঁতের জন্যও খুবই উপকারী। আসলে, এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে এবং সবাই জানেন যে ক্যালসিয়াম দাঁতের বিকাশে সহায়তা করে।