সংক্ষিপ্ত

  • রাতের দিকে কিছু কিছু খাবার আর পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত
  • আইসক্রিম, ঝালমশলা, ভুঁড়িভোজ, রাতের দিকে এড়িয়ে চলা উচিত
  • ডার্ক চকোলেট ও কিছু কিছু পানীয়ও এড়িয়ে চলা উচিত
  • অরেঞ্জ জুস, কফি রাতের দিকে এড়িয়ে চলাই উচিত

জেনে রাখা ভাল, সব খাবারই কিন্তু রাতের জন্য় নয় বরং কিছু কিছু খাবার রয়েছে, যা রাতের বেলায় এড়িয়ে চলাই ভাল তার বিভিন্ন কারণও আছে

এমনিতেই বলা হয়, ভুঁড়িভোজ করতে হয় দিনের বেলায় করুন, রাতের বেলায় নয় কারণ, রাতের আমাদের পরিশ্রম কম হয় খাবার খাওয়ার খানিক্ষণের মধ্য়েই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি তাই সেই ভুঁড়িভোজ ঠিকমতো হজম হয় না তাছাড়া ক্য়ালোরি খরচ হয় না বলে তার প্রায় পুরোটাই শরীরে লেগে যায় ফলে মেদ জমে তাই ভারী খাওয়া দিনের বেলায় করাই ভাল আর একান্তই যদি ডিনারে বিরিয়ানি বা ভারী কিছু খেতে হয়, তাহলে চেষ্টা করুন বেশি রাত না-করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে নিতে আর খাওয়ার পর অন্তত দুঘণ্টা পর শুতে যেতে

এমনিতে রাতের দিকে কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ যেমন আইসক্রিম জেনে রাখবেন, আইসক্রিম খুব ভারী ও ফ্য়াটসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় রাতের দিকে সহজে হজম হতে চায় না এতে করে ঘুমেরও ব্য়াঘাত ঘটতে পারে তাই রাতে দুধের কিছু খেতে চাইলে দই খেতে পারেন কিন্তু আইসক্রিম না-খাওয়াই ভাল

রাতের দিকে পিৎজা এড়িয়ে চলাই ভাল শুধু পিৎজাই নয়, টমেটো সস দিয়ে খাওয়া হয়, এমন যে কোনও খাবারই এড়িয়ে চলা ভাল কারণ, ওই সসে যে অ্য়াসিড থাকে তা রাতের বেলায় হজমের ব্য়াঘাত ঘটাতে পারে  আর সেই অস্বস্তি থেকে ঘুমের বারোটা বাজতে পারে

কেউ কেউ আবার রাতের বেলায় মুড ভাল রাখতে ডার্ক চকোলেট খান  বলে রাখা ভাল, ডার্ক চকোলেট আপনি খেতেই পারেন কিন্তু রাতের দিকে নয় কারণ  এর মধ্য়ে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ঘুমের ব্য়াঘাত ঘটায়

রাতে বেশি ঝাল-মশলা ভুলেও খাবেন না বেশি ঝাল থেকে অ্য়াসিডিটি হতে পারে শরীরের তাপমাত্রাও বদলাতে পারে ফলে শরীর আনচান করতে পারে তাই রাতের দিকে হালকা খাবার খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ দেখবেন, আজকাল বেশিরভাগ নেমন্তন্ন বাড়িতে  বা ভালো রেস্তোরাঁয় রান্নায় ঝাল খুব সামান্য় দেওয়া হয় বা একেবারেই দেওয়া হয় না

শুধু খাবারই নয়, কিছু পানীয়ও এড়িয়ে চলা ভাল যেমন ধরুন অরেঞ্জ জুসের মতো টক পানীয় এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্য়াসিড থাকে রাতের দিকে খেলে গ্য়াস-অম্বল অবধারিত আর তার থেকে ঘুমের ব্য়াঘাত অবশ্য়ম্ভাবী আর হ্য়াঁ, রাতের দিকে কফি না-খাওয়াই ভাল  বরং, কাজ করতে করতে যখন  ঝিমুনি আসবে, তখন ঘুম চটানোর দাওয়াই হিসেবে  কফি খান তা দুধ দিয়েই হোক, কি দুধ ছাড়া