সংক্ষিপ্ত

  • বৈধ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করুন
  • অবমাননাকর মেসেজ পাঠাচ্ছেন কি! সতর্ক থাকুন
  • হোয়াটস্যাপের নির্দেশিত নিয়ম লঙ্ঘন করছে না তো!
  • আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর হোয়াটস অ্যাপ জানিয়ে দেবে মেসেজ করে

হোয়াটস্যাপ নিষিদ্ধ করে দিতে পারে আপনার ফোন নম্বর। এই নিষিদ্ধকরণ আপনার কন্ট্যাক্টস-এ থাকা চেনা কারও আপনার নম্বর ব্লক করে দেওয়া বা হোয়াটস্যাপের কোনও গ্রুপ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করে দেওয়ার মতো ঘটনা নয় কিন্তু একেবারেই। এর সঙ্গে অ্যাপ নির্ধারিত আইন লঙ্ঘনের ব্যাপার আছে। আপনার গোটা অ্যাকাউন্টটার ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিতে পারে ফেসবুকের ছত্রছায়ায় থাকা হোয়াটস অ্যাপ।

কেন হয় এই নিষেধাজ্ঞা জারি? এর অর্থ একটাই, আপনি এমন কিছু করেছেন যা হোয়াটস অ্যাপ-এর শর্ত মেনে হয়নি। অনেক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হোয়াটাস অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে আপনি হোয়াটস অ্যাপের যে ভার্সানটি ব্যবহার করছেন সেই ভার্সানটি হোয়াটস অ্যাপের আসল ভার্সান নয়, সে ক্ষেত্রে কিছুদিনের জন্য আপনাকে হোয়াটস অ্যাপ আপনার অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

কীভাবে জানবেন যে হোয়াটস অ্যাপ আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে?

কতৃপক্ষের নজরে কোনো ভ্রান্তি ধরা পড়লেই আপনার কাছে একটি মেসেজ আসবে যেখানে লেখা থাকবে যে 'আপনার নম্বরটির ওপর হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, সাহায্যের জন্য সাপোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন'। হোয়াটস অ্যাাপের গাইডলাইন  অনুসারে হোয়াটস অ্যাপের 'কোড অফ কন্ডাকট' বা নির্দেশিত নিয়ম মেনে না চললে এই মেসেজটি পাঠানো হয় ব্যবহারকারীকে। এইবার জানবে হবে গাইডলাইন অমান্য করা বলতে কি বোঝায়? যখন ব্যবহারকারী অশোভন, মানহানিকর এবং হুমকি দেওয়ার মতো কিছু অবমাননাকর মেসেজ পাঠায় অন্য আর একজন হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীকে তখন স্পষ্টতই কোড অফ কনডাক্ট অমান্য করেন ।
যখন হিংসাত্মক কিছু প্রচার করা হয় অথবা অন্য কারো নামে জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয় কিংবা এমন কাউকে প্রচুর মেসেজ পাঠানো হয় ক্রমাগত যিনি প্রেরকের কন্ট্যাক্ট লিস্টেই নেই। এইসব ঘটনাকে তুচ্ছ মনে হতে পারে কিন্তু অজানা কারো কাছ থেকে অনেক মেসেজ পেলে ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান কতৃপক্ষের কাছে।  অর্থাৎ আপনি যদি খুব বেশি আপনার নিজের নম্বর থেকে স্প্যামিং করেন তাহলে আপনার নম্বরের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতেই পারে।  আর জেনে রাখা দরকার যে এই ধরণের নিষিদ্ধকরণ একেবারে চিরস্থায়ী হয়।

সঠিক অ্যাপ ব্যবহার না করার জন্য যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় তা তাৎক্ষনিক। হোটাস্যাপ প্লাস, জিবি হোয়াটস অ্যাপ  এসব নকল অ্যাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। এই নকল অ্যাপ থেকে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর সুরক্ষার সমস্যা হতে পারে তাই অফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করার প্রতি যাতে ব্যবহারকারী মনোযোগী হন  সেজন্য নিষিদ্ধ করা হয় নম্বরটি।  

যদি আপনার নম্বরটি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে কী করবেন?

প্রথমত নকল অ্যাপ ছেড়ে আসল অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। যদি নকল অ্যাাপ ব্যবহার করেই যেতে থাকেন তাহলে নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষনিকের সময়ের জন্য নয়, আজীবনের জন্য হয়ে যাবে।

যদি অবমাননাকর তথ্য, মেসেজ পাঠাতেই থাকেন তাহলেও নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী হয়ে যাবে।

নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর আপনি কতৃপক্ষকে ইমেল করতে পারেন কিন্তু হোয়াটস অ্যাপ কতৃপক্ষ আপনাকে নিষিদ্ধ করার কারণ জানাবেন কি না সে ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি নেই। এই অ্যাপের নির্দেশিত নিয়ম ভাঙার পর ইমেল করা ছাড়া আর কোনো মাধ্যম নেই কতৃপক্ষের যঙ্গে যোগাযোগ করার। আর নতুন ফোন নম্বর নেওয়া ছাড়া হোটাস অ্যাপ ব্যবহার করার আর কোনো উপায়ও নেই।