সংক্ষিপ্ত
- বিরিয়ানি, নাম শুনলেই যেন স্বাদকোরকরা জেগে ওঠে
- খিদের পেটে এক প্লেট গরম গরম বিরিয়ানি খেতে কেমন লাগবে তা কল্পনা করলেই যেন অর্ধেক রসাস্বাদন হয়ে যায়
- তাই মুঘল খাবার হলেও বিরিয়ানির সঙ্গে বাঙালির অন্য আবেগ জড়িয়ে রয়েছে
- কিন্তু এ কথা কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন রেস্তোরাঁয়, রাস্তা ঘাটে বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে ঢাকা থাকে
বিরিয়ানি, নাম শুনলেই যেন স্বাদকোরকরা জেগে ওঠে। খিদের পেটে এক প্লেট গরম গরম বিরিয়ানি খেতে কেমন লাগবে তা কল্পনা করলেই যেন অর্ধেক রসাস্বাদন হয়ে যায়। তাই মুঘল খাবার হলেও বিরিয়ানির সঙ্গে বাঙালির অন্য আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এ কথা কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন রেস্তোরাঁয়, রাস্তা ঘাটে বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে ঢাকা থাকে।
একটু ভাবলে নিজেই বুঝতে পারবেন। রংয়েরও ভিন্ন ভাষা রয়েছে। তাই শান্তির বার্তা দিতে দেওয়া সাদা গোলাপ। বন্ধুত্ব বোঝাতে দেওয়া হয় হলুদ গোলাপ। তেমনই লাল রং দিয়ে হাঁড়ি ঢেকে রাখারও বেশ কিছুউ অর্থ রয়েছে।
প্রথম দিকে পারস্য় সংস্কৃতির প্রভাব ছিল মুঘল শাসকদের উপরে। সম্রাট হুমায়ুন রাজ্য় হারিয়ে ইরানে আশ্রয় নিয়েছিলেন. সেই সময়ে পারস্যের সম্রাট সেই লালগালিচার উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাঁকে। খাবার পরিবেশনের সময়েও রুপোলি থালা লাল কাপড়ে ঢেকে রাখা হতো। সম্মানিত করার অন্যতম রং ছিল লাল। এই প্রচলন মুঘলদের মধ্যে থেকে যায়।
বিরিয়ানি মুঘল আমলেই ভারতে প্রবেশ করে। লখনও-এর নবাবরাও লাল কাপড়ের ব্যবহার অনুসরণ করতেন। সেই প্রচলনও আজও রয়ে গিয়েছে। আর তাই কলকাতার রাস্তাতেও বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে ঢাকা থাকে।
তবে এটাও ঠিক, লাল কাপড়ে ঢাকা থাকে বলেই দূর থেকে চিনে নেওয়া যায় মন ভাল করা খাবার কোথায় রয়েছে।