সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে স্ট্রেস, হতাশা কিংবা মানসিক উদ্বেগের মতো নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে সকলের মধ্যে। এই সমস্যা সঠিক সময় নিয়ন্ত্রণ না করলে তা কঠিন আকার নিতে পারে। এমনকী, মানসিক জটিলতা মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। সে কারণে সময় থাকতে প্রয়োজন সতর্ক হওয়া। এই সতর্কতার বার্তা প্রকাশে প্রতি বছর পালিত হয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এই দিনটির উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সকলকে সচেতন করা। বর্তমানে স্ট্রেস, হতাশা কিংবা মানসিক উদ্বেগের মতো নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে সকলের মধ্যে। এই সমস্যা সঠিক সময় নিয়ন্ত্রণ না করলে তা কঠিন আকার নিতে পারে। এমনকী, মানসিক জটিলতা মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। সে কারণে সময় থাকতে প্রয়োজন সতর্ক হওয়া। এই সতর্কতার বার্তা প্রকাশে প্রতি বছর পালিত হয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
হু-এর প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে মহামারী হওযার আগে, সারা বিশ্বের প্রায় আটজনের মধ্যে অন্তত একজন মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল। WHO-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কোভিড ১৯ মহামারী মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কট তৈরি করেছে, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী চাপকে বাড়িয়েছ ও লক্ষ লক্ষ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। অনুমান করা হয় মহামারীর প্রথম বছরে উদ্বেগ ও হতাশাজনক উভয় রোগের বৃদ্ধি ২৫ শতাংশেরও বেশি। আরও যোগ করা হয়েছে, একই সময়ে, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার জন্য চিকিৎসার ফাঁক প্রশস্ত হয়েছে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্ব ফেডারেশন ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর একটি অনির্ধারিত ক্রিয়াকলাপ সংগঠিত করেছিল। যদিও সেই বছর কোনও নির্দিষ্ট থিম ছিল না। মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসাধরণকে শিক্ষিত করা এই কার্যকলাপের প্রাথমিক নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছিল। প্রথম থিম, যা বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বাড়ানো উদ্দেশ্যে, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের থিম
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২২-এর থিম হল- সকলের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে একটি বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দিন। যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন সকলকে সতর্ক করার জন্য পালিত হয় এই দিনটি।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের উক্তি
মানসিক অসুস্থতা লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু কলঙ্ক ও পক্ষপাত আমাদের সকলকে লজ্জা দেয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন কারণ সুস্থ দেহের জন্য সুস্থ মন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া স্বাস্থ্য নেই।
মানসিক অসুস্থতা ব্যর্থতা হিসেবে নয় তবে একটি রোগ হিসেবে চিকিৎসা করা হয়।
হতাশা আপনাকে বাঁচতে দেয় না এবং একই সঙ্গে আপনাকে মরতে দেয় না।
আরও পড়ুন- সোমবার সোনা ও রূপোর দাম বাড়ল না কমল, জেনে নিন কলকাতার লেটেস্ট রেট
আরও পড়ুন- জলখাবারে পাতে থাকুক চিঁড়ের যে কোনও রেসিপি, সুগার লেভেল থেকে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে
আরও পড়ুন- গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলা আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে, জেনে নিন এই সময় কী করবেন