সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুরে একসঙ্গে সাতজন করোনা আক্রান্ত
- যার মধ্যে একজন ঘাটাল এলাকার বাসিন্দা অ্যাম্বুলেন্স চালক
- বাকি ৬ জন খড়্গপুরে রেলওয়ে কর্মী আরপিএফ
অবশেষে আতঙ্ক বাড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে একসঙ্গে সাতজন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হল বৃহস্পতিবার। যার মধ্যে একজন ঘাটাল এলাকার বাসিন্দা অ্যাম্বুলেন্স চালক, বাকি ৬ জন খড়্গপুরে রেলওয়ে কর্মী আরপিএফ।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কিছুদিন আগে খড়গপুর রেল-এর পক্ষ থেকে অস্ত্র আনতে দিল্লিতে গিয়েছিল খড়গপুর আরপিএফ এর ২৩ জনের একটি দল। গত চারদিন আগে তারা খরগপুর শহরে প্রবেশ করে একটি পার্সেল ভ্যানে করে। খড়্গপুরে অস্ত্র জমা করে তিনজন নিজেদের বাড়িতে চলে যান। যার মধ্যে একজন বালেশ্বরে গিয়ে শারীরিক অসুস্থ বোধ করলে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
অপর দু'জন কটক ও সাঁতরাগাছিতে রয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি বিচার করে ওই বাকি কুড়িজন আরপিএফ জওয়ানের করোনা টেস্ট শুরু করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। তাদের মধ্যে প্রথম ছয়জনের রিপোর্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে বের হয়। তাতে ছয়জনই করোনা পজেটিভ বলে জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার গিরিশচন্দ্র বেরা। বাকিদের রিপোর্টগুলো বসানো রয়েছে, রাতে সেগুলিও হাতে পেয়ে যাওয়ার কথা স্বাস্থ্য দফতরের।
অন্যদিকে ঘাটাল এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক অ্যাম্বুলেন্স চালক গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ ধরা পড়ে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন-" ঘাটালের ওই বাসিন্দা যেহেতু ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তাই সেই স্থানটিকে পুরোপুরি পরীক্ষা করা হচ্ছে,প্রয়োজনে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হবে, বাকি পজেটিভ বের হওয়া সকলকেই বেলেঘাটাতে পাঠানো হচ্ছে। "
এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। কারণ গত তিনদিন আগে দিল্লি থেকে এসে ওই আরপিএফ জওয়ানরা খড়গপুর শহরে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেছেন। আরপিএফ ব্যারাকের অন্যান্য সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। সম্ভাব্য সকলকে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হচ্ছে। ইতিপূর্বে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা একটি পরিবারের তিনজন করোনা পজেটিভ ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। একজন এখনও বেলেঘাটাতে রয়েছে। তবে নতুন করে একসঙ্গে ৭ জন শনাক্ত হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।