সংক্ষিপ্ত
- মিড-ডে মিল প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি
- তৃণমূল নেতাদের উপর দায় চাপিয়ে আত্মঘাতী পঞ্চায়েত কর্মী
- বাড়ির কাছেই মিলল ঝুলন্ত দেহ
- চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেবরায়
মিড-ডে মিল প্রকল্পে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ। প্রধান-সহ তৃণমূল নেতাদের উপর যাবতীয় দায় চাপিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক পঞ্চায়েত কর্মী। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে চলল বিক্ষোভ। ধুন্ধুমারকাণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেবরায়।
মৃতের নাম শিশিরকুমার কুমার বেরা। বাড়ি, ডেবরার ভগবানপুরে গ্রামে। ভগবানপুর গ্রামটি যে পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, সেই ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী ছিলেন শিশির। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এ একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পোস্টারে ঢাকল পুরসভা
আরও পড়ুন: দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে খুন ব্যবসায়ী, মেচেদা হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ পুলিশের
\জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ডেবরার ভরতপুর পঞ্চায়েত এলাকায় মিড-ডে মিলের চাল-ডালের হিসেবে গড়মিল ধরা পড়েছে। সুইসাইড নোটে ওই পঞ্চায়েতেরই কর্মী শিশির কুমার বেরা লিখে গিয়েছেন,'আমার মৃত্যুর জন্য পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান পিয়ালী সিংহ পাত্র, প্রধানের স্বামী গৌর সিংহ ও প্রাক্তন প্রধান মণীন্দ্রনাথ কমিল্লা ও পঞ্চায়েত সচিব সঞ্জয় বেরা দায়ী। ওরা মিড-ডে মিলের চাল, গম বাইরে বিক্রি করে।' পরিবারের দাবি, মিড-ডে মিল প্রকল্পে বেনিয়মের দায় শিশিরের উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছিল। মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। বুধবার অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ওই পঞ্চায়েত কর্মী নাকি আর বাড়িও ফেরেননি! রাতে ফোন করেও তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকেরা আর যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শিশিরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শেষপর্যন্ত পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। কী বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ অভিযুক্তেরা? মিড-ডে মিল প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সকলেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।