সংক্ষিপ্ত
- কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিপদের হাতছানি
- বিষধর সাপ ছোবল মারল পরিযায়ী শ্রমিককে
- গুরুতর অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি তিনি
- আতঙ্ক ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে
শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: লকডাউনের জেরে কাজকর্ম লাটে উঠেছে। ভিনরাজ্য থেকে ফেরার পর সরকারি নিয়ম মানতে গিয়ে এবার জীবনটাই না চলে যায়! কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিককে ছোবল মারল বিষধর সাপ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: হুগলি থেকে শুরু, এবার একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরাও
বাড়তি রোজগারের আশায় গিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে। মুম্বই শহরে সোনার দোকানে কাজ করতেন দাসপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ খাঁড়া ও তাঁর দাদা অভিজিৎ। লকডাউনের জেরে বেশ কয়েক দিন আটকে ছিলেন দুই ভাই। তেরো দিন আগে স্পেশাল ট্রেনে চেপে মুম্বই থেকে নিজের জেলায় ফেরেন দুই ভাই। কিন্তু বাড়িতে আর যেতে পারেননি। করোনা সতর্কতায় বিশ্বজিৎ ও অভিজিৎ-কে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় যদুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি বলে জানা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহণমন্ত্রীর জেলায় সরকারি বাস অমিল, রাস্তায় বেরিয়ে দুর্ভোগের মুখে যাত্রীরা
বুধবার রাতে স্কুলের একটি ঘরের মেঝেতে মশারি কাটিয়ে শুয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। ভোরের দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর পায়ে একটি বিষধর সাপ ছোবল মারে। চোখ খোলার দেখতেও পান সাপটিকে। ভয়ে সেটিকে মেরে ফেলেন পরিবারের লোকেরা. বিশ্বজিৎকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দাসপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও বিকাশ নস্কর জানিয়েছেন, রোগী ভালো আছেন। ওই স্কুলে কীভাবে সাপ ঢুকল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।