সংক্ষিপ্ত
- করোনা প্রতিরোধে হাতিয়ার চা
- চা বিলি করা হল রাস্তার মোড়ে
- দেওয়া হচ্ছিল লিফলেটও
- ঘটনায় সাড়া পড়েছে মেদিনীপুরে
শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: চা খেলেই কি করোনা থেকে মুক্তি মিলবে! হোমিওপ্যাথির ওষুধের পর এবার ভাইরাসকে আটকাতে আয়ুর্বেদিক চা বা কাড়া বিলি করা হল মেদিনীপুর শহরে। বাড়িতে কীভাবে এই চা বা কাড়া তৈরি করতে হবে, তাও জানিয়ে দিলেন স্থানীয় একটি সমাজসেবি সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: করোনার আতঙ্ক নয়, কোয়ারেন্টাইনে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে আশাকর্মীরা
করোনা আতঙ্কে এলোমেলো জীবন। লকডাউনের কড়াকড়ি এখন আর নেই। গোটা দেশে মতো 'আনলক' হয়ে গিয়েছে এ রাজ্যও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাস্তায় নেমেছে বাস, চলছে অটো-ট্যাক্সিও, খুলে গিয়েছে সরকার ও বেসরকারি অফিসও। কিন্তু তাতে কি! সংক্রমণের ভয়ে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। আনলক পর্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তো বাড়ছে দ্রুতগতিতে। ফের লকডাউন জারি হবে না তো? সে সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
করোনা সংক্রমণ থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে? রবিবার শহরের ন'টি জায়গায় বিশেষ আয়ুর্বেদিক চা বা কাড়া বিলি করলেন মেদিনীপুর সেবামঞ্চ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। সঙ্গে একটি লিফলেট। তাতে লেখা, কীভাবে বাড়িতে এই চা বা তাড়া তৈরি করতে হবে। সংগঠনের পক্ষে বিশ্বনাথ দাস বলেন, 'এই চা তৈরি করার উপকরণ খুবই সহলজ্য। যদি কেউ বাড়িতে এই চা তৈরি করে নিয়মিত খান, তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।' শুধু তাই নয়, করোনা প্রতিরোধী হিসেবে খোদ কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক এই কাড়াকে অনুমোদন দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মেদিনীপুর সেবামঞ্চের তরফে।
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে 'খুনের চেষ্টা', রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার এক পরিযায়ী শ্রমিক
উল্লেখ্য, মে মাসের মাঝামাঝি করোনা প্রতিরোধে মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে বর্হিবিভাগ থেকে আর্সেনিকাম অ্যালবাম নামে একটি ওষুধ বিলি করা হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত সাহা জানিয়েছিলেন, করোনার চিকিৎসা নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর্সেনিকাম অ্যালবাম নামে ওষুধটি বিলি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক। দেখা গিয়েছে, যাঁদের এই ওষুধটি দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন না। যদিওবা আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে অসুখ বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাচ্ছে না।' সেবার ওই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি সংগ্রহ করে খান অনেকেই।