সংক্ষিপ্ত
- জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের জেরার মুখে ছত্রধর মাহাতো
- শালবনী কোবরা ক্যাম্পে টানা জের করল এনআইএ
- ছত্রধরকে টানা দুদিন জেরা করে তদন্তকারীরা
- জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তৃণমূল নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ
এগারো বছর আগের পুরনো মামলায় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। জঙ্গলমহলের শালবনীতে রাজধানি এক্সপ্রেস আটক মামলা এবং শালবনীর ধরমপুরে মাওবাদীদের হাতে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় তাঁকে জেরা করা হয় বলে জানাগেছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শালবনীতে ২০৭ নম্বর ব্য়াটেলিয়নের কোবরা ক্যাম্পে জেরার করার জন্য ডেকে এনআইএ আধিককারিকরা। এদিনই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে কোবরা ক্য়াম্পে পৌঁছান তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে। টানা পাঁচঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় জেরা করা হয়। পরের দিন শনিবার শালবনীতে রাজধানী এক্সপ্রেস আটক মামলায় জেরা করে এনআইএ।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় জামিন পেয়ে জেল থেকে গত ফেব্রয়ারিতে ছাড়া পেয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। লালগড়ে নিজের বাড়িতে ফেরার পরই জঙ্গলমহলে গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। শনিবার রাজধানী এক্সপ্রেস আটক মামলায় বেলা ১১টা নাগাদ শালবনী কোবরা ক্যাম্পে পৌঁছে যান ছত্রধর। করোনা আবহে সোশ্য়াল ডিসট্য়ান্সিং মেনে জেরা করা হয় বলে সূত্রের খবর।
১১ বছর আগে ঝাড়গ্রাম ও শালবনীতে দায়ের হওয়া পুরনো দুটি মামলার পুনর্তদন্তের জন্য কলাকাতার বিশেষ আদালতে আবেদন করে এনআইএ। সেখানে আবেদন মঞ্জর হওয়ার পরই বৃহস্পতিবার ছত্রধরকে নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা দুদিন জেরা কর হয় ছত্রধর মাহাতোকে।