সংক্ষিপ্ত
- করোনা পরিস্থিতিতে বিপদ বাড়ছে
- হাসপাতাল অধিগ্রহণের উদ্যোগ সরকারের
- বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ চিকিৎসক ও নার্সদের
- পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ঘটনা
করোনা মোকাবিলায় এবার কি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করবে সরকার? বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন চিকিৎসক, নার্স-সহ একশোরও বেশি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের বদলে নার্সিংহোমে, দালালচক্রের নেপথ্যে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা
গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে সরকার। বাদ যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিও। দু'বছর ধরে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চলছে পিপিই মডেলে। সরকারি পরিকাঠামো ও ওষুধ ব্যবহার করে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছে জিন্দাল গোষ্ঠী। চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদেরও নিয়োগ করেছে ওই বেসরকারি সংস্থাটি। কিন্তু কয়েক মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
এদিকে আবার যতদিন যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। রোগীদের চাপ এতটাই যে, দুটি হাসপাতাল তৈরি করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না! তাহলে উপায়? এবার শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিকে অধিগ্রহণ করে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার হাসপাতালের পরিদর্শন করতে আসেন স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: লকডাউনের ফের, অভাবের তাড়নায় গায়ে আগুন নিয়ে আত্মহত্যা নির্মাণ শ্রমিকের
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ। নতুন করে আর কোনও রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। হাসপাতাল যদি সরকার অধিগ্রহণ করে নেয়, তাহলে জিন্দাল গোষ্ঠীর কাছ থেকে বকেয়া বেতন পাওয়া যাবে না তো? আশঙ্কায় ভুগছেন চিকিৎসক, নার্স-সহ হাসপাতালের কর্মীদের। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বেতন মিটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভও। মুখে কুলুপ এঁটেছেন শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার রূপেশ মল্লিক।