সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আবহে পুজোয় জৌলুস নেই তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে
  • কোনও জাঁকজমক ছাড়াই তারা মায়ের পুজো সম্পন্ন
  • পুজো পুরোহিতদের হোয়াটসঅ্য়াপে গোত্র দিলেন ভক্তরা
  • মন্দিরে ভক্ত ছাড়াই রীতি মেনে পুজো সম্পন্ন করলেন পুরোহিতরা
     

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-করোনা মহামারির কারণে থমকে গিয়েছে বিশ্ব। থেমেছে জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠান। জোরদার আঘাত পড়েছে পূজা-অর্চনাতেও। এবছর করোর কাঁটায় জোর ব্যাঘাত তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে। কোনও রকম সাড়ম্বর ছাড়াই কৌশিকী অমাবস্যার পুজো সম্পন্ন হল। তবে, মন্দিরে ভক্তদের ভিড় না থাকলেও ষোড়শ উপাচার মেনেই তারা মায়ের পুজো সম্পন্ন করলেন ১০ জন পুরোহিত।
প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় জাঁকজমক ভাবে পুজো হয় তারা মায়ের মন্দিরে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঐতিহ্যবাহী এই বর্গভীমা মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় ভিন জেলা ও রাজ্য থেকেও তারা মায়ের পুজো দিতে আসেন ভক্তরা। কিন্তু, এবছর করোনা মহামারির কারণে পুজোর সেই জৌলুস নেই। ভক্তদের ভিড় ছাড়াই করোনা বিধি নিষেধ মেনেই পুজো সম্পন্ন করলেন পুরোহিতরা।

মঙ্গলবার কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দিরে তারা মায়ের পুজো করলেন পুরোহিতরা। রূপনারায়ণ নদী থেকে জল এনে পুজোর সূচনা করেন।এদিন বর্গভীমা মন্দিরে রাতভর চলে পুজো-অর্চনা-যজ্ঞ। ১১১ কেজি বেল কাঠ, ১৫ কেজি ঘি দিয়ে দশমা বিদ্যার যজ্ঞ হয়।  

তবে প্রযুক্তির সাহায্য়ে পরিবারের মঙ্গল কামনায় পুজো দিতে সমস্যায় পড়তে হয়নি ভক্তদের। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁদের নাম, গোত্র মন্দিরের ব্রাহ্মণদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ভক্তরা। রীতি মেনেই ভক্তদের পরিবারের মঙ্গল কামনায় তারা মায়ের কাছে পুজো দিলেন পুরোহিতরা।