সংক্ষিপ্ত

  • জঙ্গল খাবারের আকাল
  • ফসল নেই ক্ষেতেও
  • বেপরোয়া হাতি ঢুকছে গ্রামে
  • আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা

জঙ্গলে খাবারের আকাল, আলু ছাড়া তেমন ফসল নেই ক্ষেতেও। সাতসকালে বেপরোয়া হাতির দল ঢুকে পড়ল গ্রামে! আতঙ্ক ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের সীমানায় পাহারা বসিয়েছে বনদপ্তর।

বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী পিড়কাটা গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি পূর্ণবয়ষ্ক দাঁতাল হাতি। হাতির দাপাদাপিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। প্রাণভয়ে রীতিমতো ছোটাছুটি করতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ হতাহত হননি, তবে হাতির দল একটি বাইকে ভেঙে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে গ্রামে। শেষপর্যন্ত লোকালয় ছেড়ে খোলা মাঠের দিকে রওনা দেয় হাতির দল। এদিকে ততক্ষণে বনদপ্তরের হুলা পার্টি সদস্যদের সঙ্গ হাতি তাড়ানোর কাজ নেমে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। তাড়া করে হাতিটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শালবনীর রঞ্জার জঙ্গলে। কিন্তু এবার না হয় দিনের আলোয় গ্রামে ঢুকেছিল হাতির দল, তাই সতর্ক হওয়ার সুযোগ মিলেছে। কিন্তু সন্ধ্যায়র পর যে এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে কি হবে? ভেবেই শিউরে উঠছেন সকলেই।

আরও পড়ুন: যুবকের মৃত্যুতে রহস্য, আড়াই বছর পর কবর খুঁড়ে দেহ তুলল পুলিশ
 
স্রেফ শালবনিতেই নয়, একই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামের দরখুলি গ্রামে। গ্রাম থেকে জঙ্গল খুব বেশি দূরে নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সেই জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে হাতির দল। হাতির তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে মাঠের ফসল। এরইমধ্যে আবার বুধবার সকালে গ্রামের কাছে চলে আসে দুটি হাতি! খবর পাওয়ামাত্রই ঐরাবত গাড়ি-সহ হাতি তাড়ানোর যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে  ঘটনাস্থলে হাজির হন বনদপ্তরের কর্মীরা। হাতি দুটি ফের জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়। 

আরও পড়ুন: ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু, ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুশুনিয়াবাসীর

কিন্তু বারবার কেন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দল? বনদপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, জঙ্গলে খাবার আকাল চলছে বহুদিন ধরেই। এতদিন জঙ্গল লাগোয়া  ক্ষেতের ফসল খেয়ে পেট ভরাচ্ছিল হাতির দল। কিন্তু এখন সেই উপায়ই নেই। কারণ হাতির তাণ্ডবে ক্ষেতে ফসলও আর অবশিষ্ট নেই। এই পরিস্থিতি খিদের জ্বালাতে মেটাতে দিনদুপুরে হাতিদের গ্রামে ঢোকা পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। সতর্কতামূলক ব্য়বস্থা হিসেবে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি সীমানায় পাহারা দিচ্ছেন বনকর্মীরাই।