সংক্ষিপ্ত

  • নেতাই শহীদ দিবস পালিত হল ৭ জানুয়ারী
  • লালগড়ের নেতাই গ্রামে ২০১১ সালে এই দিনে গণহত্যা হয়েছিল
  • সিপিএমের বাহিনীর হাতে ৯ জন গ্রামবাসী খুন হয়েছিলেন
  • প্রতিবছর তাঁদের স্মরনে নেতাই শহীদ দিবস পালন করেন শুভেন্দু অধিকার


মঙ্গলবার ছিল নেতাই শহিদ দিবস। আর সেই উপলক্ষে নেতাই-এ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদদের স্মরণে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে, এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন 'কোন দলের নির্দিষ্ট পাতকা না রেখে গ্রামবাসীরা মিলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। আমি আপনাদের সেই সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানাই। আমরা আইনকে সম্মান করি।রথিনবাবু কোর্ট থেকে আর্ডার নিয়ে তার বাড়ি খুলেছেন। আমি বলব রথিনবাবুর বাড়িকে ব্যবহার করে যে পাপ কাজ করে গেছেন তাঁর বন্ধুরা​,​ তার প্রশ্চিয়ত্ব দয়া করে একবার তিনি গ্রামের মানুষদের নিয়ে করুন। আমি আইনকে সম্মান জানিয়ে এই কথাই বলব।'

উল্লেখ্য ​,​লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের নেতা রথিন দন্ডপাটের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল​ সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী​। ​গ্রামবাসীরা​ প্রতিবাদ করতে ২০১১ সালের ​৭​ জানুয়ারি রথিন দণ্ডপাট বাড়ির সামনে​ গুলি চালিয়েছিল সেই বাহিনী ৷​ মারা যান গ্রামের চার জন মহিলা-সহ মোট নয় জন।​ ​প্রতিবছর এই দিন শুভেন্দু ​অধিকারী নিয়ম করে নেতাই গ্রামে​ যান​ এবং নিহত শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জা​নিয়ে শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করেন​​।

নেতাইয়ের সেই ঘটনার পরে সিপিএমের স্থানীয় নেতা অনুজ পান্ডে, ডালিম পান্ডে , রথীন দন্ডপাট, ফুল্লরা মন্ডলেরা গ্রেফতার হন ৷ বর্তমানে তাদের বেশিরভাগই জামিনে রয়েছেন ৷ ঘটনার পরে রথীন দন্ডপাটের সেই বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছিল সিআইডি ৷তদন্ত শেষে আদালতে সবকিছু জমা দিয়েছিল সিআইডি ৷  কিছুদিন আগেই আদালতের নির্দেশে রথিন দন্ডপাটের বাড়িটি তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।বর্তমানে ভাঙাচোরা সেই বাড়ি সংস্কার করে থাকতে শুরু করেছেন রথীনের পরিবারের লোকেরা ।​​ নেতাই শহীদ দিবসে তাই সেই রথীন দন্ডপাটকে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী ৷  এদিন শুভেন্দু বাবু আলাদা ভাবে কেবল নেতাই গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে তাদের প্রায়োজন নিয়ে কথা বলেন।নেতাই গ্রামেরই বাসিন্দা অসীম পালের বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন।এদিন শাসক দলের পশ্চিম মেদিনীপু​​র,ঝাড়গ্রাম জেলার অনেক নেতা নেত্রীই উপস্থিত ছিলেন।​​