সংক্ষিপ্ত
- বায়ু সেনার প্রয়োজনে জাতীয় সড়কের ওপরে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং
- এমনই ফেসিলিটি লান্ডিং তৈরির কাজ শুরু হল মেদিনীপুরে
- দুদিন ধরে সেই কাজ শুরু হয়েছে বেলদার বাখরাবাদ এলাকাতে ৷
বায়ু সেনার প্রয়োজনে পশ্চিম মেদিনীপুরের পোক্তাপোল এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপরে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং ফেসিলিটি তৈরির কাজ শুরু হল ৷ গত দুদিন ধরে সেই কাজ শুরু হয়েছে বেলদার বাখরাবাদ এলাকাতে ৷
খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা এলাকাতে বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে ৷ সেখান থেকে প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মহড়া ও প্রয়োজনীয় অবতরণ হয়৷ এবার সেখান থেকে কয়েক কিমি দূরে সেই খড়্গপুর মহকুমার বাখরাবাদ এলাকাতে বায়ুসেনার ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং ফেসিলিটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ৷ খড়্গপুর থেকে ওড়িশাগামী ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে শ্যামপুরা থেকে পোক্তাপোল এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিমি জাতীয় সড়ককে রানওয়ে হিসেবে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ সেই কর্মসূচিতে নেমে দুদিন ধরে সার্ভে করা ও জাতীয় সড়কের পাশে থাকা গাছ, দোকান সরানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ জাতীয় সড়কের ওপরে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং ফেসিলিটি মার্কিং বোর্ডও ৷
কর্মরত আধিকারিকরা জানাচ্ছেন- এই ৫ কিমি জাতীয় সড়কটি ৬০ মিটার চওড়া করা হবে ৷ মাঝে থাকা অংশটুকুও ভরাট করা হবে ৷ সূত্রের খবর- ভারতবর্ষের মোট ১৩ টি স্থানে এই ধরনের এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে জাতীয় সড়কের ওপরে ৷ পশ্চিমবঙ্গে একটাই হচ্ছে আপাতত, তা বেলদার বাখরবাদ এলাকায় ৷ এই বেলদা, নারায়নগড় সংলগ্ন এলাকাতে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার বায়ুসেনার মিগবিমান ভেঙ্গে পড়েছিল ৷ প্রতিবারই সেনারা বিমান থেকে সুরক্ষিত বেরিয়ে পড়লেও বিমানটি এই এলাকাগুলি সংলগ্ন চাষজমিতে ভেঙে পড়েছিল ৷ মহড়া শুরু হলে এই স্থানগুলির ওপর দিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিমান উড়ে যায় ৷ ফলে এখন কারণ ছাড়াও আরও বেশ কিছু অজ্ঞাত কারণে এই রানওয়ে তৈরি শুরু হয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই তা সম্পন্ন হবে বলে প্রস্তুতকারী সংস্থা ৷