সংক্ষিপ্ত
- প্রায় আড়াইশো বছরের ঐতিহ্যে ছেদ
- করোনা আতঙ্কে ঘুরল না রথের চাকা
- নমো নমো করে পুজাপাঠ চলল মন্দিরে
- মন খারাপ মহিষাদলের
সঞ্জীব কুমার দুবে,, পূর্ব মেদিনীপুর: রীতিমাফিক পুজোপাঠের পর জগন্নাথ ও রাজপরিবারের কূল দেবতা গোপাল জিউ-কে তোলা হয় রথে। কিন্ত রশিতে টান দেবে কে! করোনা আতঙ্কে নমো নমো করে রথযাত্রা পালিত হল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। বিকেলে রথ নেমে পালকিতে চেপে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা।
আরও পড়ুন: ছয়শোর বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, করোনা আতঙ্কে এবার মাহেশে গড়াল না রথের চাকা
প্রায় আড়াইশোর বছর আগের কথা। তখন রাজা ছিলেন আনন্দলাল উপাধ্যায়। তাঁর সহধর্মিনী রানী জানকি দেবী মহিষাদলের রথযাত্রা উৎসবে সূচনা করেন। এরপর ১৮০৪ সালে জানকি দেবীর মৃত্যুর মতিলাল পাঁড়ে যখন রাজত্বভার গ্রহণ করেন, তখন সুবিশাল ১৭ চূড়োর একটি রথ তৈরি করান তিনি। তারপর থেকে মহিষাদলের রাজপরিবারের রথযাত্রা সর্বজনীন উৎসবের চেহারা নেয়।
এখন সেই রাজাও নেই, রাজত্ব নেই। কিন্তু ঐতিহ্যে গৌরবে আজও অমলিন মহিষাদল রাজপরিবারের রথ। প্রতিবছর রথের টান দিতে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম। 'রাজা'র নামে জয়ধ্বনিতেও মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। করোনা আতঙ্কে এবার আর কিছুই হল না। মঙ্গলবার সকালে অবশ্য রীতি মেনে পুজো করে রাজপরিবারের কুলদেবতা গোপাল জিউ ও জগন্নাথদেবকে রথে তোলা হয়। বিকেল পর্যন্ত জগন্নাথ দেব থাকবেন রথেই। এরপর পালকিতে চেপে রওনা দেবেন মাসির বাড়ির পথে।
আরও পড়ুন: বাঘের ভয়ে ত্রস্ত গ্রাম, খাঁচা পেতে ধরা পড়ল বাঘরোল
উল্লেখ্য, স্রেফ মহিষাদলেই নয়, করোনা আতঙ্কে এবার রথযাত্রায় ছেদ পড়েছে হুগলির মাহেশেও। স্বাস্থ্য বিধি মেনে অল্প সংখ্যা লোককে নিয়ে সকালে মন্দিরে চলে পুজোপাঠ। বিকেলে রথের চারপাশে প্রদক্ষিণ করিয়ে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে নারায়ণশিলাকে