সংক্ষিপ্ত
- নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী
- ২০০৭ সালে তাঁর হাত ধরেই মাটি শক্ত করেছে তৃণমূল
- এখন পূর্ব মেদিনীপুরে নিজের গড়ে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি
- সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক কাজ থেকে অনেক দূরে শুভেন্দু
সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর- সালটা ২০০৭। সিপিএমের আমলে নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলন। পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু। তৎকালীন সেই ঘটনার স্মৃতি উঠলে আজও শিউরে ওঠেন রাজ্যবাসী। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। সেই জমি আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই রাজ্য নিজেদের মাটি শক্ত করেছিল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে রাজ্য সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি, দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজে তাঁকে আর দেখা যায় না। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হলেও দলীয় সংগঠনে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। নিজের গড় পূর্ব মেদিনীপুরে নিজের গুরুত্ব কার্যত হারিয়ে ফেলেছেন। কেননা, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাদের সরিয়ে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠরা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন জেলার সাংগঠনিক স্তরে।
এর মধ্যেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির পদ ঘিরে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। হলদিয়া রিফাইনারি ওয়াকার্স ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন কার্যকরী সভাপতি দেব প্রসাদ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি পুরসভার কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন পুরপ্রধান ছিলেন দেব মণ্ডল। যদিও তা আগণতান্ত্রিক বলে দাবি করেছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জল্পনা আরও জোরাল হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর অবশ্য অন্য কথা বলছেন, তাঁরা বলেন, দুবছর আগে দলের সাংগঠনিক পদে ভাল জায়গায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়তে থাকায় সমস্যা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁর ভাইপো অভিষেককে যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। তাছাড়া, শুভেন্দু নাকি বিজেপিতে যাচ্ছেন এই জল্পনা শুরু হলেও তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য তাঁদের। কেননা, শুভেন্দু নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ালেও তিনি জিতবেন বলে দাবি পূর্ব মেদিনীপুর বাসির।
নিজের গড় পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুকে ঘিরে জল্পনার জেরে আগামী বিধানসভায় তৃণমূল দল সমস্যায় পড়তে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এলে তাতে আখের লাভ হবে বিজেপির।