সংক্ষিপ্ত

  •  করোনা মোকাবিলায় সাংসদ কোটার অর্থ স্বাস্থ্যখাতে
  •  এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব
  •  এই মুহুর্তে তার কোটায় এক কোটি টাকা জমা আছে
  • পাওয়া অর্থ স্বাস্থ্য়খাতে যাক চান তিনি  

শাহজাহান আলি, মেদিনীপুর:  করোনা মোকাবিলায় সাংসদ কোটার সমস্ত অর্থ স্বাস্থ্যখাতে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। তিনি বলেছেন, এই মুহুর্তে তার কোটায় এক কোটি টাকা জমা আছে। আরও যেসব অর্থ তিনি পাবেন তার সবটাই তিনি স্বাস্থ্যখাতে খরচ করবেন। শুধু তিনিই নয়, সকল সাংসদকেই এব্যাপারে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

তেলিনিপাড়ার ঘটনায় উস্কানির অভিযোগ, লকেট-অর্জুনের নামে এফআইআর

পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও চিন্তিত দেব। তারকা সাংসদের কথায় এভাবে চলতে থাকলে করোনায় যত না মানুষ মারা যাবে তার থেকে বেশি শ্রমিক বন্ধুরা বাড়ি পৌঁছানোর আগেই মারা যাবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় প্যাকেজের সমালোচনাও করেছেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে দেব বলেছেন, কুড়ি লক্ষ কোটি টাকা প্যাকেজের মধ্যে যদি শ্রমিকরা যে যেখানে আছেন সেখানে বাড়ির মালিকদের তিন মাসের ভাড়া মকুব এবং দুবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকত তাহলে অনেক বেশী উপকার হত।

সোমবার থেকে চলবে সব বাস, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্য়ে সাতটা পর্যন্ত পরিষেবা...

এদিন জেলা পরিষদের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় বিধায়কদের নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে মেদিনীপুর এসেছিলেন সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মাত্র চার ঘন্টার নোটিশে লকডাউন হলে কোনও শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারবে না এটাই বাস্তব। কিন্তু এনিয়ে রাজনীতি চান না তিনি। তার এলাকাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার বড় ভিড় আছে। বরং পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এলে তাদের ও বাড়ির লোকজনকে কীভাবে কোয়ারেনটাইনে রাখা যায় সেনিয়েই এখন সকলকে ভাবতে হবে। 

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ২৫৭৬, নতুন করে সংক্রমিত ১১৫.

তার পরিবারের লোকজনকে নিয়েই সম্প্রতি যে রাজনীতি হয়েছে সেই ক্ষোভও ব্যক্ত করেছেন তিনি। দেব বলেন-"পরিযায়ী শ্রমিক একটা বড় সমস্যা এই মুহূর্তে। সরকার অনেক রকম ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাংসদ হিসেবে এই মুহূর্তে আমার যত তহবিল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে দেওয়া উচিত। কারণ করোনা কোনোভাবেই যাবে না। একটা সময় আমাদের লকডাউন তুলতেই হবে।মানুষের আর্থিক প্রয়োজনে সরকারকে বাধ্য হয়ে লকডাউন তুলতে হবে। তাই এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোটাকে আরও ঠিক করা দরকার। 

 

 

জেলাশাসককে আমি জানিয়েছি আমার সাংসদ কোটার তহবিল এই খাতে ব্যয় করা হোক। প্রতিদিনই আমরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করছি যার কিছু ভুল হচ্ছে আবার কিছু ঠিক হচ্ছে। তাই বলে একটা ভুলকে ঠিক করার জন্য দশটা ভুল করতে রাজি নই। যেটা ভুল হয়ে গেছে সেটা ভুলে যান। সবাইকে নতুন করে কাজ করতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই সময়টা রাজনীতি করার সময় নয়। কারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শ্রমিকরা যত না মারা যাবে, তারচেয়ে বেশি শ্রমিক বন্ধুরা বাড়িতে পৌঁছানোর আগে মারা যাবে। 

প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর যে সমস্ত দৃশ্যগুলো দেখছি তা সত্যিই ভয়াবহ। রাস্তাঘাটে যেভাবে শ্রমিকরা মারা যাচ্ছে, মনে হয়না অতোগুলো লোক করোনাভাইরাসে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাহলে আর সরকার কোথায়, সরকার তো মানুষের জন্যই। সরকারের উচিত মানুষের পাশে থাকা এই মুহূর্তটা। ২০২১ এর দিকে তাকিয়ে সরকার যদি বসে থাকে তাহলে তো হয়েই গেল।"

অন্যদিকে কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালের নার্সদের একাংশের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার পেছনেও রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। তবে তিনি হাতজোড় করে অনুরোধ করেছেন৷ ভিন রাজ্যের নার্সদের চলে যাওয়া নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাংসদ তথা দীপক অধিকারী। এদিন তিনি বলেন- "এই মুহূর্তে ওরাই ঈশ্বর ছিল। চরম মুহুর্তে ওদের চলে যাওয়াটা দুঃখজনক। হাত জোড় করে অনুরোধ করছি ওদের থাকার জন্য। আমাদের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে আমাদের কাছে থাকুন। এই মুহূর্তে আপনাদের সবচেয়ে বেশি দরকার।"এদিনের বৈঠকে দেব, মানসবাবু ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দীনেন রায় প্রমুখ।