সংক্ষিপ্ত

শনিবার বিকেলে, পাকিস্তানের করাচি (Karachi) শহরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে গেল একটি ভবন। অন্ততপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। 

শনিবার বিকেলে, পাকিস্তানের করাচি (Karachi) শহরের শেরশাহ পরচা চক এলাকায়, একটি ভবনে জোরালো বিস্ফোরণে (Karachi Blast) অন্ততপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হতাহতদের প্রত্যেকতে করাচির ডাক্তার রুথ ফাউ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের দাবি, একটি গ্যাসের পাইপলাইন ফেটেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

বিভিন্ন পাক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটে যে ভবনে, সেখানে একটি প্রাইভেট ব্যাঙ্কের কার্যালয় ছিল। তার নিচ দিয়েই গিয়েছে একটি পার্শ্ববর্তী পেট্রোল পাম্পের পাইপলাইন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই পাইপলাইনটি পরিষ্কার করার জন্য গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই ব্যাঙ্ক ও ওই ভবনে অবস্থিত অন্যান্য অফিসগুলিকে ভবনটি খালি করে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বেশ কয়েকবার বলা সত্ত্বেও, তা করা হয়নি। বিস্ফোরণে ব্যাঙ্কের ভবনটির তো ক্ষতি হয়েইছে, পাশের পোচ্রোল পাম্পটিরও বড় ক্ষতি হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ভবনের নিচের ওই পাইপলাইনে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস জমতে জমতে চাপ বেড়ে গিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

বিস্ফোরণের খবর পেতেই, সিন্ধ রেঞ্জার্স (Sindh Rangers) এবং সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা  দ্রুত ওই স্থানে ছুটে যান। পুলিশ ও আধাসেনার জওয়ানরা ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলে। এই ঘটনার বেশ কিছু ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ফুটেজগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ওই ভবনটি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতল ভবনটি প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থলের আশপাশে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি ভিডিওয়, স্থানীয়দের ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয়দের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তল্লাশি চালাতেও দেখা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বেশ কিছু লোক আটকে আছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে, বিস্ফোরণের কারণ অজানা বলা হলেও, পরে করাচি পুলিশের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, বিস্ফোরণটি ওই গ্যাস পাইপলাইন থেকেই ঘটেছে। তবে, বম্ব ডিস্পোসাল স্কোয়াডও রয়েছে ঘটচনাস্থলে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, আহতদের পরে করাচির ট্রমা সেন্টারে (Karachi Trauma Center) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার অভিযান চলাকালীন রেঞ্জার্স ও পুলিশ সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ধ্বংসাবশেষের নিচে অনেকে আটকে আছেন। তাই, ধ্বংসাবশেষগুলি সরাতে ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাটি গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণ বলে দাবি করলেও, সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহ, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন করাচির পুলিশ কমিশনারকে। এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তলব করেছেন তিনি।