সংক্ষিপ্ত
ভাইরাল ওই চিঠিটি লেখা হয়েছিল চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। চিঠির উপরে থাকা তারিখ থেকে তা জানা গিয়েছে। চিঠিকে কুরেশি লেখেন, আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের প্রতি উদাসীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এখনও পর্যন্ত ফোনে কোনও কথা হয়নি। প্রথা অনুযায়ী, নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু, জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেওযার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইমরানের সঙ্গে বাইডেনের কোনও কথা হয়নি। আর এনিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরান। তা নিয়ে ওয়াশিংটনে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাসকে একটি চিঠি লেখেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। দুটি দেশের মধ্যে 'অর্থপূর্ণ যোগাযোগ' স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে দূতাবাস। ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখা এই চিঠি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ভাইরাল হওয়া সেই চিঠি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। ওয়াশিংটনে থাকা তাদের দূতাবাসকে এই ধরনের কোনও চিঠিই লেখা হয়নি বলে দাবি করেছে বিদেশ মন্ত্রক।
ভাইরাল ওই চিঠিটি লেখা হয়েছিল চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। চিঠির উপরে থাকা তারিখ থেকে তা জানা গিয়েছে। চিঠিকে কুরেশি লেখেন, আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের প্রতি উদাসীন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস।
আরও পড়ুন- কী হয়েছিল সোমবার রাতে, ফেসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ,ইনস্টাগ্রাম অচলের কারণ জানাল কর্তৃপক্ষ
হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। কিন্তু, এত কিছু সত্ত্বেও বাইডেনের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ইমরানের কোনও কথা বলা সম্ভব হয়নি। আর তা নিয়েই চিঠিতে দূতাবাসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুরেশি।
আরও পড়ুন- ভোররাতে পাকিস্তানে ভূমিকম্প, ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
সাধারণ প্রথা অনুযায়ী নতুন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তবে গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলেননি জো বাইডেন। তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের প্রচারের সময় পাকিস্তানের সমালোচনা করলেও শপথ নেওয়ার আগেই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন- ভারত বিরোধী সুর তালিবান নেতার, মাহমুদ মাজার পরিদর্শন করে কী বললেন হাক্কানি
যদিও ভাইরাল হওয়া ওই চিঠির সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করেছে পাক বিদেশ মন্ত্রক। টুইটারে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, "সোশ্যাল মিডিয়ায় যে চিঠি ঘুরে বেরাচ্ছে তা আমাদের নজরে এসেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে ওই চিঠি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসকে পাঠানো হয়েছে। যদিও এই চিঠি সম্পূর্ণ ভুয়ো ও ভিত্তিহীন।"