সংক্ষিপ্ত
ফের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নৃশংস হামলা পাকিস্তানে
গুলি করে হত্যা করা হল খ্রিস্টান মা ও পুত্রকে
ইসলাম নিন্দার অভিযোগ তুলে চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা
উঠছে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি
তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা চলছেই। দিন কয়েক আগে এক খ্রিস্টান যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এবার ইসলাম নিন্দার অভিযোগ তুলে এক খ্রিস্টান মা এবং তার পুত্রকে নির্মমভাবে হত্যার খবর এল।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরে। ইয়াসমিন ও তার ছেলে উসমান মসিহ-এর কোনও একটি বিষয় নিয়ে তর্ক হয়েছিল তাঁদের মুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে। এরপরই মহম্মদ হাসান নামে এক স্থানীয় ব্যক্তির নেতৃত্বে উন্মত্ত জনতা তাদের উপর চড়াও হয়। তারপর মারধরের মধ্যেই নির্মমভাবে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে পাশাপাশি মা ও ছেলের দেহ পড়ে রয়েছে। এলাকাটি ভেসে যাচ্ছে রক্তে। পড়ে আছে তাদের পায়ের চটি, এবং জল খাওয়ার মগও। ঠিক কী নিয়ে তর্ক বেধেছিল তা জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থনে পাক পুলিশকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে।
এই রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শিরোমণি অকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিংহ সিরসা। তিনি বলেছেন, এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে এবং এই বিষয়ে পাকিস্তান সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কাজেই এবার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের খতিয়ে দেখা উচিত।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর এক খ্রিস্টান নাবালিকাকে অপহরণ করে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে, মহম্মদ ইমরান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কাজী মুফতি আহমেদ জান রাহেমি- নামে এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। পাক আদালত তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বটে, তবে সে এখনও পলাতক। জানা গিয়েছে, একই কাজ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আগেও একটি মামলা হয়েছিল।