সংক্ষিপ্ত
রবিবার পাক রাজধানী ইসলামাবাদে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তিনি। তেহরিক-ই-ইনসাফ সেনেটর ফয়জল জাভেদ খান জানিয়েছেন রবিবার বিকেল চারটের সময় ইসলামাবাদের প্যারেড অ্যাভিনিউয়ে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan)। বিরোধীদের পাশাপাশি তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) পদে আর দেখতে চাইছেন না তাঁর দলের একাধিক সদস্যও। ফলে আদৌ তাঁর পদ থাকবে কিনা সেই এখন বেশ চিন্তায় রয়েছেন তিনি। আর এই দোলাচলের মধ্যেই এবার তিনি পাকিস্তানবাসীর মুখোমুখি হতে চাইছেন। তার জন্য রবিবার পাক রাজধানী ইসলামাবাদে (Islamabad) একটি সমাবেশের (Jalsa) ডাক দিয়েছেন তিনি। তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf ) সেনেটর ফয়জল জাভেদ খান জানিয়েছেন রবিবার বিকেল চারটের সময় ইসলামাবাদের প্যারেড অ্যাভিনিউয়ে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমাবেশকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, এখন রীতিমতো দোলাচলের মধ্যে রয়েছেন ইমরান। তাই নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মানচিত্র বদল করার শেষ চেষ্টা করতে চলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, শুক্রবার পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা (no-confidence motion) প্রস্তাব পেশ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার সমাবেশের ডাক দিলেন ইমরান। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইমরানের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করেছে পুলিশ। এই সমাবেশের জন্য পাক রাজধানীর একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকছে। বেশ কয়েকটি রাস্তায় বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'পুতিন একজন কসাই', ইউক্রেনের শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করে রুশ প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ বাইডেনের
সমর্থকদের উদ্দেশে ইমরান খান টুইটারে এক বার্তায় বলেন, "আমি সব পাকিস্তানিকে এক বার্তা দিতে চাই। আজ আমাদের যেই জলসা (সমাবেশ) হচ্ছে পাকিস্তানের জন্য। এই লড়াই তেহরিক-ই-ইনসাফের নয়। এই লড়াই পাকিস্তানের জন্য। এটা পাকিস্তানের ভবিষ্যতের লড়াই। আপনারা যাঁরা যাঁরা আসছেন তাঁদের আমি একটি বার্তা দিতে চাই যে জলদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কারণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছে। আসতে বাধা দেওয়া হবে। আর আমার ভয় যে আপনারা হয়তো জলসায় সময় মতো এসে পৌঁছতে পারবেন না।"
আরও পড়ুন- রাশিয়ার সামরিক কৌশল পরিবর্তন, পোল্যান্ডে প্রথম ইউক্রেনীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক বাইডেনের
উল্লেখ্য, ৮ মার্চ ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তাদের দাবি, পার্লামেন্টের বেশির ভাগ সদস্যই ইমরানের বিপক্ষে ভোট দেবেন। তবে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়মের অভিযোগ, ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়েছেন। ঘুষের অঙ্ক প্রায় ৬০০ কোটি।
লাদাখে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে চিনে যাবেন ডোভাল, চিনা বিদেশমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ
পাক গণমাধ্যম অনুযায়ী, ন্যাশনার অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থ প্রস্তাব পেশ হলে ইমরানের দলের বেশ কয়েকজন সদস্য তাঁর সরকারের বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন। ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক নম্বর হল ১৭২। তার মধ্যে পিটিআই-এর সদস্য সংখ্যা ১৫৫। বাকি মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৭৯। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে নিজের গদি বাঁচিয়ে রাখাই এখন অনেক বেশি কঠিন হয়ে উঠেছে ইমরানের কাছে।