সংক্ষিপ্ত
- তেহরানে গিয়ে ইতিহাস-ভুগোল গুলিয়ে ফেলেছিলেন ইমরান খান
- জার্মানী-জাপানকে বলে বসেন প্রতিবেশী দেশ
- আরও বলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল
- এই নিয়ে ইন্টারনেটে ব্যাপক বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে
স্পিচ রাইটারের লিখে দেওয়া নোটের বাইরে বেরিয়ে কথা বলতে গেলেই রাজনৈতিক নেতারা অনেকসময়ই ভয়াবহ সব ভুল করে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর 'ডহরবাবু' বা এই ধরণেরর আরও বিভিন্ন ভুল কথনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিচিত। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এর ব্যতিক্রম নন। সম্প্রতি তেহরান সফরে গিয়ে তিনি এমন ইতিহাস-ভুগোল জ্ঞানের নিদর্শন রেখেছেন, যে ভারতীয় শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা রীতিমতো বিস্মিত।
সেই বিস্ময় তিনি প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানিয়েছেন, তিনি আহ্লাদিত যে পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর ইতিহাস বা ভুগোলের শিক্ষক ছিলেন না। এমনকী এর জন্য তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ পর্যন্ত জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরান সফরে গিয়েছিলেন ইমরান। আর সেখানে গিয়ে জার্মানী আর জাপানকে একেবারে পাশাপাশি থাকা দুই প্রতিবেশী দেশ বলে বসেন তিনি। জানান, দুই দেশের মধ্যে সাধারণ সীমানাও রয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত দুই দেশই তাদের লক্ষ লক্ষ নাগরিককে হত্যা করেছিল। কিন্তু তারপর দুই দেশ নিজেদের সাধারণ সীমানা এলাকায় যৌথ উদ্যোগে শিল্প গড়ে তুলেছে।
বাস্তবে জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত, আর জার্মানী ইউরোপের একটি দেশ। তার উপর জাপান কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত বলে কোনও দেশের সঙ্গেই তাদের সীমানা নেই। কাজেই ভুগোলে একেবারে মারাত্মক ভুল করে বসে আছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে তার ইতিহাস জ্ঞানের অভাবও স্পষ্ট। তিনি বলেছেন দুই দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত একে অপরের লক্ষ লক্ষ নাগরিককে হত্যা করেছিল। কিন্তু ঘটনা হল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের জার্মানীর অক্ষ শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী জাপান। কাজেই দুই দেশের একে অপরের নাগরিকদের হত্যা করার প্রশ্নই ওঠে না।
এই বিষয় নিয়ে শুধু আনন্দ মাহিন্দ্রাই নন, বহু নেটিজেনই পাক প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রুপ করেছেন। এরপর থেকে আর মনে হয় ইমরান লিখিত স্ক্রিপ্ট ছেড়ে নিজের জ্ঞান প্রদর্শন করতে সাহস করবেন না।